Advertisement
০২ মে ২০২৪
Narendra Modi

বাবা-মায়ের সমর্থন পেতে স্কুল পড়ুয়ারা ‘মাধ্যম’ বিজেপির? মোদীর উদ্যোগ নিয়ে তৎপর বাংলার স্কুলও

২০১৮ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কর্মসূচি শুরু করেন। তবে তা বড় আকার নেয় গত লোকসভা নির্বাচনের বছর ২০১৯ থেকে। এ বার ভোটের আগেও আবার হতে চলেছে সেই কর্মসূচি।

A photograph of Prime Minister Narendra Modi with school student.

স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৩
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে আগেই হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সপ্তম ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচি। তাতে যোগ দিতে পারে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যে কোনও পড়ুয়া। যোগ দিতে পারেন অভিভাবকরাও। তাতে যোগ দিয়ে কেউ কেউ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলতে পারে। সেটা সামনাসামনি কিংবা ভার্চুয়াল মধ্যমে। কথা বলতে পারবেন শিক্ষক বা অভিভাবকরাও। তবে এর একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। আর তাতেই মোদী সরকারের ‘সাফল্যগাথা’ পৌঁছে যেতে পারে শিক্ষক, অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে।

২০১৮ সালে প্রথম এই কর্মসূচি শুরু করেন মোদী। সেই বছরে মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক তথা সর্বভারতীয় বিভিন্ন বোর্ডের দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষার ঠিক আগে আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি বসেছিল মোদীর পাঠশালা। পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে কী ভাবে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে নিজের মতামত দেওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছিলেন। পরে এটাই বাৎসরিক কর্মসূচি হয়ে যায়। পরের বছর থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হয়ে যায়।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে মুখে মোদীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। আবার ২০২৪ সালের ভোটের আগে আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হতে চলেছে পরীক্ষার্থীদের টিপস দেওয়ার মোদীর বাৎসরিক কর্মসূচি। আপাতত তার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজ্যে সরকারি স্কুল না হলেও সিবিএসই বোর্ডের আওতায় থাকা বেসরকারি স্কুলগুলি এর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। স্কুলের তরফে একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে অভিভাবকদের ফোনে। যেখানে গিয়ে পড়ুয়া বা অভিভাবক অংশ নিতে পারবেন একটি প্রতিযোগিতায়। যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বলা হয়েছে, কোনও পড়ুয়া, অভিভাবক বা শিক্ষক রেজিস্ট্রেশনের পরে ৫০০ শব্দের মধ্যে পরীক্ষা ও কেরিয়ার সংক্রান্ত প্রশ্ন পাঠাতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে বাছাই প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন মোদী।

তবে যে লিঙ্কের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে সেটি দিয়েই দলের অনেকটা প্রচার হয়ে যাবে বলে মনে করছে বিজেপি। কারণ, ‘মাইগভ.ইন’ আদতে সরকারি ওয়েবসাইট হলেও এর সঙ্গেই যুক্ত রয়েছে ‘নরেন্দ্রমোদী.ইন’ ওয়েবসইট। তাতে বিজেপির সঙ্গে ‘বিজেপি কানেক্ট’ অংশে গেলে দলে যোগ দেওয়া থেকে বিজেপির আদর্শ সবই পাওয়া যাবে। আবার স্কুলের দেওয়া লিঙ্কের মাধ্যমে যে ওয়েবসাইটে ঢোকা যাবে তার থেকে চলে যাওয়া যাবে ‘নমো’ অ্যাপে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় প্রকল্পের প্রচার চলে। মোদী সরকার কী কী ‘ভাল’ কাজ করেছে গত সাড়ে ন’বছরে, তার বিবরণও রয়েছে। আবার বিজেপির নীতি সম্পর্কেও জানা যাবে। প্রকাশ্যে না স্বীকার করলেও বিজেপি চায়, পড়ুয়াদের ‘ভোটার’ অভিভাবক এবং শিক্ষকরা ‘নমো’ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে যে অ্যাপ হবে প্রচারের অন্যতম মাধ্যম। যেখানে নিয়মিত মোদীর বক্তৃতাও পোস্ট করা হয়ে থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Prime Minister school student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE