E-Paper

ঘুড়ি আনা নিয়ে যুবককে মার, হাওড়ায় ধৃত ১০

যে যুবক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুড়ি আনতে গিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতেই ১৫-২০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তার পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই যুবককে লোহার রড ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে দেয় তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ০৯:০৯
মনোজ-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মনোজ-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

পাশের বাড়ির ছাদে এসে পড়া একটি ঘুড়ি আনতে যাওয়ায় বিবাদ। যার জেরে শুক্রবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল হাওড়ার নাজিরগঞ্জের চুনাভাটিতে। যে যুবক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুড়ি আনতে গিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতেই ১৫-২০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তার পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই যুবককে লোহার রড ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে দেয় তারা। খবর পেয়ে ছুটে এসে এলাকার লোকজন হামলাকারীদের কয়েক জনকে ধরে ফেলেন। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাদের। মনোজ সিংহ নামে যে প্রতিবেশী যুবকের নেতৃত্বে প্রথমে হামলা চালানো হয়েছিল, তার বাড়িতে চড়াও হয়ে মোটরবাইক ভাঙচুর করেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দুষ্কৃতীদের কোনও মতে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় মনোজ-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বিকেলে সন্দীপ রায় নামে এক যুবক প্রতিবেশী মনোজের বাড়ির ছাদে উড়ে এসে পড়া ঘুড়ি আনতে গেলে তাঁকে বাধা দেয় মনোজ। এ নিয়ে সন্দীপের সঙ্গে মনোজের বচসা ও মারপিট হয়। অভিযোগ, বিকেলের ওই ঘটনার পরে রাত ৯টা নাগাদ সন্দীপের বাড়িতে মনোজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সন্দীপের স্ত্রীর সামনেই তাঁকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এই আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি সন্দীপের স্ত্রী ও শিশুসন্তানও। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছ’-সাতটি মোটরবাইকে করে আসা সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পাড়ার ছেলেকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। হামলাকারীদের কয়েক জনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এর পরে পাল্টা মারধর করা হয় তাদেরও।

আক্রান্ত যুবকের বাবা ভোলা রায় বলেন, ‘‘মনোজ জেল-খাটা আসামি। ওরা যে ভাবে আক্রমণ করেছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত।’’ এলাকার বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘যে ভাবে সন্দীপকে মারধর করা হয়েছে, তাতে ছেলেটি বাঁচবে কিনা, জানি না। রড দিয়ে মেরে পা ভেঙে দিয়েছে। মাথাতেও গুরুতর আঘাত। আমরাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে ভর্তি করি।’’

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা‌ বলেন, ‘‘পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation antisocial

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy