বিপুল বাজি উদ্ধার। ফাইল চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এবং মালদহের বাজারে বাজির গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পর থেকেই রাজ্যের শুরু হয়েছে বেআইনি বাজি উদ্ধারের পুলিশি অভিযান। তার অঙ্গ হিসাবেই বুধবার হাওড়া থেকে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার হল।
বুধবার রাতে উত্তর পাঁচলার গজগিরি এলাকায় এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় পাঁচলা থানার পুলিশের একটি দল। পুলিশ সূত্রে খবর, শেখ বাপি নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে শব্দবাজি-সহ বিভিন্ন ধরনের বাজি মজুত ছিল। ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে সব মিলিয়ে ১৬,৫০০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবারও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ৮০০ কেজি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া কমিশনারেট ও গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। ডোমজুর থানা এলাকা থেকে ৪০০ কেজি বাজি উদ্ধার হয়েছে। নিশ্চিন্দা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০ কেজি। দাসনগর এলাকাতেও অভিযান চালায় হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকেরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৪৮ কেজি, সাঁকরাইলে মিলেছে ৫০ কেজি এবং জগৎবল্লভপুর থানার অন্তর্গত পাতিয়ালের মালপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার প্রায় ১০০ কেজি বাজি ও বাজি তৈরির মশলা।
হাওড়়ার পাশাপাশি বুধবার মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দুই দিনাজপুর থেকেও প্রচুর বাজি উদ্ধার হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, কান্দি, নবগ্রাম, বেলডাঙার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানে মিলেছে প্রায় চার কুইন্টাল বাজি। গ্রেফতারও হয়েছেন ৫ জন। বীরভূমের সিউড়িতে এক বাজি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ কেজি বাজি উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয়েছে ব্যবসায়ীকেও। এ ছাড়াও বালুরঘাট শহর, হরিরামপুর বাজার এবং রায়গঞ্জের নানা এলাকা থেকে প্রচুর শব্দবাজি আটক করে পুলিশ। বালুরঘাট এবং হরিরামপুর থেকে তিন জনকে আটকও করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy