Advertisement
E-Paper

Howrah: পড়ুয়া নেই, তালা পড়ল হাওড়ার ২৫ প্রাথমিক স্কুলে

সংসদের কর্তাদের অবশ্য দাবি, এই ২৫টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হলেও জেলায় সামগ্রিকভাবে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ০৮:৫২
স্কুলের গেটে তালা।

স্কুলের গেটে তালা। ফাইল চিত্র।

গত কয়েক বছর ধরে পড়ুয়া কমছিল। করোনার জেরে লকডাউন-পর্ব শেষে স্কুল চালুর পর থেকে আসছিল না কোনও খুদেই। অবশেষে হাওড়া শহর লাগোয়া এলাকার ২৫টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধই করে দিল জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদ। স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসাবে সংসদ সূত্রে পড়ুয়ার অভাবের কথাই জানানো হয়েছে। আর ওই সব স্কুলের শিক্ষকদেরও অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

তবে সংসদ সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, ‘‘স্কুলগুলি পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করা হয়নি। যদি দেখা যায়, ওই এলাকার পড়ুয়ারা ফের স্কুলগুলিতে পড়তে চাইছে, তাহলে সেগুলি খোলা হবে। ফিরিয়ে আনা হবে শিক্ষকদেরও। একটি স্কুলের ক্ষেত্রে তেমনটা করাও হয়েছে।’’

সংসদ সূত্রে খবর, হাওড়া জেলায় ২৯৬৯টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে শহর এলাকার ওই ২৫টি প্রাথমিক স্কুলগুলির অধিকাংশই চলত ভাড়া বাড়িতে। করোনা পরিস্থিতির আগে সেখানে চার-পাঁচ জন খুদে পড়তে আসত। তারপর করোনা-পর্বে বছর দু’য়েক বন্ধ ছিল স্কুলগুলো। সেই সময় বাড়িভাড়া মেটাতে হত। তারপর স্কুলগুলি যখন ফের চালু হল, দেখা গেল একজনও পড়তে আসছে না। কেবল স্কুলে যাতায়াত করেই বেতন তুলছিলেন ওই স্কুলগুলির শিক্ষকরা। এরপরই সংসদের তরফে ওই স্কুলভবনগুলিতে তালা মেরে দেওয়া হয়। আর শিক্ষকদের অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হয়।

সংসদের কর্তাদের অবশ্য দাবি, এই ২৫টি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হলেও জেলায় সামগ্রিকভাবে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে। কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘‘লক ডাউন পর্বে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ১০ শতাংশ পড়ুয়া বেড়েছে। আগামী দিনে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পড়ার মানোন্নয়ন করে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।’’ পড়ুয়ারা আসতে আগ্রহী হলে, যে স্কুলগুলি বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলি ফের খোলার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

তবে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তে প্রমাদ গুনছেন শিক্ষকদের একাংশ। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেন্ড প্রাইমারি টিচার্স অসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘এই প্রবণতা কিন্তু ভয়াবহ। একথা অনস্বীকার্য, সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া হয় না। ফলে সরকারি থেকে বেসরকারি স্কুলে চলে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। তাই স্কুল বন্ধ করে দেওয়াই একমাত্র সমাধান নয়। সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত উন্নতি করতে হবে। কেন পড়ুয়ারা আসছে না সেটা সমীক্ষা করে দেখে সমস্যার সমাধান করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।’’

Schools Howrah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy