Advertisement
E-Paper

চন্দননগর হাসপাতালে ভাব জমিয়ে জুস খাইয়ে লুট! পড়ে গিয়ে একজনের মাথা ফাটল, কোথায় নিরাপত্তা?

রাতে হাসপাতালে থাকেন বহু মানুষ। তেমনই চন্দননগর হাসপাতালে তিন জনকে ফলের রস খাইয়ে অজ্ঞান করিয়ে সর্বস্ব লুটের ঘটনা। সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:০৬
ভাব জমিয়ে জুস খাইয়ে সর্বস্ব লুটের ঘটনা চন্দননগর হাসপাতালে।

ভাব জমিয়ে জুস খাইয়ে সর্বস্ব লুটের ঘটনা চন্দননগর হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র।

পরিজন ভর্তি। হাসপাতালে রাত জাগতে গিয়ে ঠগের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়া গেল তিন ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে এক ব্যক্তি এসে ভাব জমিয়ে তিন জনকে ফ্রুটি জাতীয় পানীয় খেতে দেন। চুমুক দিয়ে তাঁরা পানীয়ের বোতল আবার ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ধুপধাপ পড়ে যান তিন জনই। জ্ঞান ফিরতে দেখেন, গায়েব পকেটে রাখা মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা।

হরিপালের শেখ মহম্মদ ওলিউল্লাহ, শ্রীমন্ত সিংহ এবং পার ডানকুনির বাসিন্দা আইজুল মল্লিক। কারও স্ত্রী, কারও মা, আবার কারও সন্তান ভর্তি চন্দননগরের সরকারি হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরেই ছিলেন। অভিযোগ, গভীর রাতে এক ব্যক্তি এসে তাঁদের সঙ্গে ভাব জমান। গল্প করতে করতেই হাতের বোতল থেকে জুসে চুমুক মারতে বলেন বাকিদের। ওলিউল্লাহ এবং শ্রীমন্ত সেই বোতল থেকেই চুমুক মারেন। তার পর বোতলে সামান্য ফলের রস পড়ে ছিল। পাশেই ঘুমোচ্ছিলেন আইজুল। তাঁকে ফলের রসের বোতল শেষ করে দিতে বলেন ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। আইজুল বোতলে পড়ে থাকা অবশিষ্ট পানীয় গলায় ঢালেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিন জন জ্ঞান হারান। সকালে জ্ঞান ফিরতে দেখেন মোবাইল, নগদ টাকা গায়েব। তিন জনেই বুঝতে পারেন, রাতে ঠগের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তাঁরা। এই অবস্থায় সর্বস্ব হারিয়ে ওলিউল্লাহ শৌচাগারে যেতে গিয়ে মাথা ঘুরে হাসপাতালের মধ্যেই পড়ে যান। তাঁর মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয়।

ওলিউল্লাহ বলেন, ‘‘আমি রোজা করি। গত রাতে একজন বলল, একটু জুস খান। খাওয়ার পর আর হুঁশ ছিল না। সকালে উঠে মুখ ধুতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাই। মাথা ফেটে যায়। হাসপাতালে অনেক ধরনের মানুষ আসেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা দরকার।’’ কার্যত একই কথা জানান আইজুল। রোগীর পরিজনদেরও অভিযোগ, আগেও এই ধরনের কেপমারির ঘটনা ঘটেছে হাসপাতাল চত্বরে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা থাকলেও অ্যানেক্স বিল্ডিং নতুন হওয়ায় সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। হাসপাতালের প্রবেশ দ্বারেও নেই সিসি ক্যামেরা। থাকেন না নিরাপত্তারক্ষীরাও। ফলে কার্যত নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে এত বড় সরকারি হাসপাতালটি। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে বহু কষ্ট সহ্য করে মানুষকে রাতে থাকতে হয়। রাতে থাকার আলাদা কোনও ব্যবস্থা তো দূর অস্ত, সামান্যতম নিরাপত্তাটুকুও অমিল। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Chandannagar Fruit Juice
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy