E-Paper

জল পেতে হয়রান তিন পরিবার

ভুক্তভোগীদের মধ্যে কালীপদ বিশুই, সুশান্ত বিশুই এবং লক্ষ্মীকান্ত বিশুইয়ের খেদ, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার ঘুরপথে পানীয় জল আনতে যেতে হচ্ছে। এ জন্য তাঁদের শারীরিক পরিশ্রম তো হচ্ছেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৪

— প্রতীকী চিত্র।

‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে বাড়িতে পানীয় জলের পাইপ লাইন এসেছে। কিন্তু জলের সমস্যা মিটছে না খানাকুল ১ ব্লকের রামমোহন ২ পঞ্চায়েতের কায়বা গ্রামের তিনটি পরিবারের। এত দিন তাঁরা গ্রামের সরকারি নলকূপের জল ব্যবহার করতেন। কিন্তু সরকারি প্রকল্পের জলের লাইন হতেই নলকূপে যাওয়ার ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। আবার বাড়িতেও জল মিলছে না— এই জোড়া অভিযোগ নিতে পরিবারগুলি পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে কালীপদ বিশুই, সুশান্ত বিশুই এবং লক্ষ্মীকান্ত বিশুইয়ের খেদ, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার ঘুরপথে পানীয় জল আনতে যেতে হচ্ছে। এ জন্য তাঁদের শারীরিক পরিশ্রম তো হচ্ছেই। পাশাপাশি ভোগান্তির অভিযোগও তুলছেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে তাঁরা লিখিত ভাবে ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতে দাবি জানিয়েছেন, হয় জল জীবন মিশনের জল পাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে, না হলে সরকারি নলকূপে যাওয়ার রাস্তার আগল খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “রাস্তার আগলের বিষয়টি পঞ্চায়েতকে সুরাহার জন্য বলা হয়েছে। জলজীবন মিশনের কোথায় কী ঘাটতি বা অসুবিধা, সেগুলি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর খতিয়ে দেখছে।” পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুজিত ঘোষ বলেন, “রাস্তার আগলের ব্যাপারে সোমবার দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। মাসখানেকের জন্য যাতে জায়গার মালিক আগলটি খুলে দেন, সেই অনুরোধ করা হবে। তার মধ্যেই বিকল্প সরকারি রাস্তার
পরিকল্পনা হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Water crisis Khanakul

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy