E-Paper

প্রাথমিক ক্রীড়ায় হাই জাম্পে সোনা গোঘাটের ছাত্রীর

রবিবার বাড়ি ফিরে সংবর্ধনায় ভাসল দিনমজুর পরিবারের সাত বছরেরে মেয়েটি। গোঘাট স্টেশনে নামতেই চন্দনের ফোঁটা, ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৪
তৃষাকে সংবর্ধনা। রবিবার গোঘাটে।

তৃষাকে সংবর্ধনা। রবিবার গোঘাটে। নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত ৪০তম রাজ্য বার্ষিক প্রাথমিক স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হাই জাম্পে সোনা জিতল গোঘাট ২ ব্লকের শ্যামবাজারের বাসিন্দা তৃষা মুর্মু। স্থানীয় শেওড়াগেড়িয়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীটি ১.১৪০ মিটার উচ্চতায় লাফিয়েছে। গত শুক্রবার ও শনিবার রাজ্য স্তরের খেলাটি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্রীড়াঙ্গনে।

রবিবার বাড়ি ফিরে সংবর্ধনায় ভাসল দিনমজুর পরিবারের সাত বছরেরে মেয়েটি। গোঘাট স্টেশনে নামতেই চন্দনের ফোঁটা, ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করা হয়। কেউ আবার তৃষাকে কোলে তুলে নাচেন। পরে নানা বাদ্যযন্ত্র সহযোগে মিছিল করে তাকে বাড়ি ফেরান এলাকাবাসী। শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তৃষার পড়াশোনার এবং খেলাধুলো চর্চার যাবতীয় খরচ বহন করা হবে বলে জানান ওই অনুষ্ঠানে শামিল প্রধান প্রভাত গোস্বামী।

তৃষার বাবা সোমাই মুর্মু বলেন, “সংসার চালাতে সকাল হলেই আমাকে ও স্ত্রীকে কাজে চলে যেতে হয়। স্কুলের শিক্ষকেরাই মেয়েকে পড়াশোনা ও খেলাধুলোর চর্চা করান।” তৃষা বলে, “পড়াশোনার চেয়ে খেলাধুলো বেশি ভাল লাগে।”

তৃষার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রণজিৎকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুল-সহ জেলাকে গর্বিত করল আমাদের ছাত্রী।” পড়ুয়াদের খেলাধুলো পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক আশিসকুমার খাঁ। তিনি তৃষার সঙ্গে শালবনিতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজ্য স্তরেও দুর্দান্ত ফলাফল করল প্রতিভাধর মেয়েটি। আগামী দু’বছর (স্কুলটি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত) তৃষা আমাদের স্কুলেই থাকবে। এই ধারাবাহিকা যাতে বজায় থাকে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

high jump gold medal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy