E-Paper

অন্যের জমিতে ‘চেম্বার’ তৈরি করায় অভিযুক্ত সরকারি চিকিৎসক

উদয়চাঁদবাবু ওই আদালতে মামলা দায়ের করেন গত এপ্রিলে। তিনি দাবি করেন, ১৯৯৫ সালে তাঁর মা ২ কাঠা ৮ ছটাক জমি বিক্রি করেছিলেন ওই চিকিৎসকের মাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪ ০৯:০৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অন্যের জমিতে চেম্বার বানিয়ে অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে হুগলির একটি সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। জমির মালিক, ক্রুকড লেনের বাসিন্দা উদয়চাঁদ ধরের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে চুঁচুড়া আদালতের বিচারক অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন পুলিশকে। অভিযোগ মানেননি ওই চিকিৎসক।

উদয়চাঁদবাবু ওই আদালতে মামলা দায়ের করেন গত এপ্রিলে। তিনি দাবি করেন, ১৯৯৫ সালে তাঁর মা ২ কাঠা ৮ ছটাক জমি বিক্রি করেছিলেন ওই চিকিৎসকের মাকে। দলিলে বলা হয়েছিল, ওই জমির পাশের একটি জমির (সেটির মালিকও তাঁরা বলে দাবি উদয়চাঁদবাবুর) পাঁচ ফুট অংশ ‘কমন প্যাসেজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন ক্রেতা। উদয়চাঁদের অভিযোগ, তাঁদের অনুমতি না নিয়ে চিকিৎসকের পরিবার ওই পাঁচ ফুট জমিতে দেওয়াল তুলে লোহার গেট ও গাছ বসিয়েছেন। ‘কমন প্যাসেজ’ সংলগ্ন তাঁদের অন্য একটি জমিতে চিকিৎসক চেম্বারও বানিয়েছেন। রোগী ও মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ-রা মামলাকারীর বাড়ির গেটের সামনে মোটরবাইক, গাড়ি রাখেন। এতে সমস্যা তৈরি হয়।

আদালতের কাছে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারির আবেদন জানানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করেছিলেন উদয়চাঁদ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে, সরকারি বেতনভুক কোনও চিকিৎসক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন না।’’

অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, ‘‘জমি দখল করে চেম্বার করার অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। হাসপাতালের কাজ শেষ করে আমি আমার বাড়িতেই রোগী দেখতাম। যেমন অন্য অনেক সরকারি চিকিৎসকেরা করে থাকেন। কেউ আমাকে ফি দিতেন, কেউ দিতেন না। স্বাস্থ্য দফতরে এ নিয়ে অভিযোগ হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে আমি বাড়িতে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘তাঁর কাছে আসা রোগীদের কেউ কেউ ওই পাঁচ ফুটের কমন প্যাসেজটি ব্যবহার করতেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chinsurah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy