E-Paper

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে ৪০ লক্ষের জালিয়াতি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা, বছর ৪৮-এর ওই ব্যক্তি মোটা লাভের আশায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা এই চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:২৮
ভুয়ো সংস্থা খুলে সমাজমাধ্যমে অস্বাভাবিক বেশি অঙ্কের আয়ের লোভ দেখিয়ে এর আগেও বহু মানুষকে প্রতারিত করার ঘটনা ঘটেছে।

ভুয়ো সংস্থা খুলে সমাজমাধ্যমে অস্বাভাবিক বেশি অঙ্কের আয়ের লোভ দেখিয়ে এর আগেও বহু মানুষকে প্রতারিত করার ঘটনা ঘটেছে। —প্রতীকী চিত্র।

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন ভেবে একটি ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা, বছর ৪৮-এর ওই ব্যক্তি মোটা লাভের আশায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা এই চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি বিশাল প্রতারণা-চক্র। এই চক্রের মূল মাথারা এখনও অধরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ভুয়ো সংস্থা খুলে সমাজমাধ্যমে অস্বাভাবিক বেশি অঙ্কের আয়ের লোভ দেখিয়ে এর আগেও বহু মানুষকে প্রতারিত করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও এই ধরনের প্রতারণার বিষয়ে বার বার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও অনেকেই যে সচেতন হননি, এই ঘটনা ফের তা প্রমাণ করে দিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চ্যাটার্জিহাটের ওই বাসিন্দা গত ২৬ মে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তিনি জানান, তাঁকে সমাজমাধ্যমের সাহায্যে ঠকানো হয়েছে। তিনি ৪০ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। তিনি ওই টাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তিন দফায় প্রতারকদের দু’টি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রতারকেরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করে। তাঁকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে বিশাল অঙ্কের টাকা লাভের কথা বলে প্রলোভন দেখানো হয়। এর পরে ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করে তাঁর আস্থা অর্জন করে প্রতারকেরা। তার পরে তাঁকে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠায়। সেই দু’টি অ্যাকাউন্টে তিন দফায় ওই ব্যক্তি মোট ৪০ লক্ষ টাকা জমা দেন‌। এর কিছু দিন পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে, তাঁকে ঠকানো হয়েছে। তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।

হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (উত্তর) বিশপ সরকার বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে সাইবার সেল প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সমীর সর্দার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরে সাজিদ আলি নামে আরও এক যুবককে কলকাতার নারকেলডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকেউদ্ধার হয় ২০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য তদন্ত চলছে।’’ ডিসি (উত্তর) জানান, প্রতারণার ওই অর্থ জমা পড়েছিল ধৃত সমীরের অ্যাকাউন্টে। সে কমিশনের ভিত্তিতে এই কাজ করেছিল। আর প্রতারণার টাকা রাখার জন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ব্যবস্থা করেছিল সাজিদ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Share Market Fraud police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy