E-Paper

ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের, জিজ্ঞাসাবাদ ছেলে ও বৌমাকে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামেশ্বর মালিয়া লেন ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা উপর থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ০৯:৪২
পড়ার সময়ে বৃদ্ধের মুখ থেকে কোনও আওয়াজ শোনা যায়নি।

পড়ার সময়ে বৃদ্ধের মুখ থেকে কোনও আওয়াজ শোনা যায়নি। —প্রতীকী চিত্র।

একটি আবাসনের পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার রামেশ্বর মালিয়া লেনে। মৃতের নাম দেবকীনন্দন সান্থালিয়া (৭৫)। পুলিশের অনুমান, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ। তবে, ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারণ আছে কিনা, তা জানতে তাঁর ছেলে ও বৌমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামেশ্বর মালিয়া লেন ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা উপর থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। তড়িঘড়ি এসে তাঁরা দেখেন, রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন দেবকীনন্দন। সন্তোষ চৌধুরী নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা পাড়ার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি, আবাসনের ছাদ থেকে ওই বৃদ্ধ কয়েকটি টিনে ধাক্কা খেতে খেতে সশব্দে মাটিতে পড়লেন।’’ সন্তোষ জানান, বৃদ্ধ মাটিতে পড়ার দুই থেকে তিন মিনিট পরে আবাসনের ছাদ থেকে এক ব্যক্তিকে উঁকিঝুঁকি মেরে নীচে তাকাতে দেখেন তাঁরা। তবে পড়ার সময়ে বৃদ্ধের মুখ থেকে কোনও আওয়াজ শোনা যায়নি।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, ঘটনার সময়ে বৃদ্ধ ছাড়া আবাসনের ছাদে আর কেউ ছিলেন কিনা। কারণ, স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, বৃদ্ধ মাটিতে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে এক ব্যক্তিকে ছাদ থেকে ঝুঁকে কিছু দেখার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য আবাসিকদের চোখ এড়িয়ে ওই বৃদ্ধ একা ছাদে গিয়ে কী ভাবে পড়ে গেলেন, সেটাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

দেবকীনন্দন সান্থালিয়া।

দেবকীনন্দন সান্থালিয়া।

মৃতের পুত্রবধূ সীমা সান্থালিয়া বলেন, ‘‘সকালে জোরে একটা শব্দ শুনেছিলাম। ভেবেছিলাম, কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র ফেটেছে। কারণ, বুধবার রাত থেকে সিইএসসি-র কাজ হচ্ছিল। তার পরে আমাদের আবাসনের নীচের লোহার গেট বন্ধ থাকায় দুধওয়ালা ডাকছিলেন। গেট খুলতে গিয়ে দেখি, রাস্তায় বাবা পড়ে রয়েছেন।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের সঙ্গে পরিবারের লোকজন দুর্ব্যবহার করতেন কিনা, তা জানতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Death Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy