—প্রতীকী চিত্র।
গঙ্গার ঘাটে থাকা দোকানদার এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রং খেলার পরে এ দিন বিকেলের দিকে দুই তরুণ বাইক নিয়ে শিবপুর ঘাটে স্নান করতে আসেন। স্নান করার সময়ে হঠাৎই এক জন তলিয়ে যান। সেই সময়ে ঘাটে মোতায়েন ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। ওই তরুণ ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাই দ্রুত গঙ্গায় নেমে তল্লাশি শুরু করেন। কিছু ক্ষণ পরে উদ্ধার হয় সুরজের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শিবপুর থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, সুরজ ও তাঁর বন্ধু, দু’জনেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তদন্তকারীদের ধারণা, অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণেই গঙ্গায় স্নান করতে নেমে ডুবে মারা যান ওই তরুণ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ দিন অনেকেই রং খেলার পরে শিবপুর ঘাটে স্নান করতে আসছিলেন। সেই কারণে সকাল থেকেই ঘাটে মোতায়েন রাখা হয়েছিল রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের। তাঁরা মাইকে নাগাড়ে সতর্কতার প্রচার চালাচ্ছিলেন। নদীতে নেমে যাতে লোকজন স্নান করে তাড়াতাড়ি উঠে আসেন, সে কথা বার বার ঘোষণা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের সামনেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ দিকে, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিবপুর ঘাটে এলাকার বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়। সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায়। ঘটনার পরে আরও এক দল যুবক বাইক নিয়ে শিবপুর ঘাটে স্নান করতে এলে পুলিশ তাঁদের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়। উত্তেজিত জনতাকে হটাতে মৃদু লাঠিও চালায় পুলিশ। পাশাপাশি, সুরজের বন্ধুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় শিবপুর থানায়। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা জানতে ওই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy