চাহিদা অনুযায়ী তোলা না দেওয়ায় এক ট্রাকচালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ডানকুনি টোল প্লাজার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের এই ঘটনায় গুরুতর জখম আনিস খান নামে ওই চালককে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ অভিযোগ না মানলেও ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ভোর চারটে থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ট্রাক চালকরা। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। তবে ঘণ্টা দু’য়েকের এই অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে লাইন পড়ে যায় গাড়ির। যানজটে নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা।
জখম ট্রাক চালক জানান, হরিয়ানা থেকে ধান ঝাড়ার মেশিন নিয়ে ট্রাকটি এ দিন যাচ্ছিল কলকাতায়। তাঁর অভিযোগ, ডানকুনির টোল প্লাজা পেরনোর পরই কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ তাঁর কাছে মোটা টাকা তোলা চায়। তিনি সেটা দিতে রাজি না হওয়ায় গাড়ি থেকে নামিয়ে শুরু হয় মার।
সেটা দেখে প্রতিবাদ শুরু করেন অন্য ট্রাক ও লরি চালকরা। চলে অবরোধ। ট্রাক চালকদের অভিযোগ, গাড়ি আটকে তোলা নেওয়া রুটিন হয়ে গিয়েছে। এখন আবার বেশি টাকার চাহিদা করা হয়। না দিতে চাইলে কেস দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।
তবে পুলিশের দাবি, এ দিন ওই চালক সিগন্যাল ভাঙায় তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। সে সময় তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁর গাড়ির কাগজ ঠিক ছিল না। সেটা দেখানোর কথা বলতেই ট্রাফিক পুলিশের উপর চড়াও হন তিনি। ধাক্কাধাক্কিতে দু’জনই জখম হন। তারপরই পালিয়ে যান ওই চালক। অন্য গাড়ির টালককে দিয়ে ট্রাকটি সরানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। ওই চালকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।