আজ, বৃহস্পতিবার ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হুগলিতে ৯৯.৯৯ শতাংশ গণনাপত্র (এনুমারেশন) ডিজ়িটাইজ়ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআইআরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) তরুণ ভট্টাচাৰ্য। তাঁর দাবি, সময়ের আগেই বাকি থাকা তিনশোর মতো গণনাপত্র ডিজিটাইজ্ড হয়ে যাবে। মোট কত নাম বাদ পড়তে চলেছে তা নিয়ে অবশ্য তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরখসড়া-তালিকা প্রকাশিত হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বলেন, ‘‘সে দিনই কাদের নাম থাকছে এবং থাকছে না, দু'টিরই তালিকা বের হবে।’’ নাম বাদ গেলে আতঙ্কিত না হয়ে কী কী নথি জমা দিয়েফের ভোটার-তালিকায় নাম তোলা যাবে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দেন তিনি।
এ দিন সন্ধ্যায় চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দফতরে এ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ)। বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের শুনানি সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত করানো হয়। খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে আগামী বছর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দাবি ও অভিযোগ জানানোর সময়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি ও যাচাই পর্ব চলবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বিধানসভাভিত্তিক শুনানি-শিবিরের আয়োজন করা হবে। যে এলাকায় যত বেশি নাম বাদ যাবে, সেই এলাকায় তত বেশি শুনানি-শিবির হবে। প্রতি ব্লকের শিবিরগুলির প্রধান দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ইআরও)।
রাজনৈতিক দলগুলির ধারণা, হুগলিতে দেড় থেকে দু’লক্ষ বা তার কিছু বেশি মানুষের নাম বাদ পড়তে পারে খালড়া-তালিকায়। তবে, এর মধ্যে একটি বড় অংশই মৃত। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণও শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, স্বচ্ছ ভোটার-তালিকা হলে এ রাজ্যে আখেরে শাসক তৃণমূলের ক্ষতি। বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ভোটার-তালিকা স্বচ্ছ হলে তাদের ভোটে প্রভাব পড়বে না। উল্টে তৃণমূল জেতার পরে বিরোধীদের অজুহাত দেওয়া বন্ধ হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)