E-Paper

প্রধান শিক্ষিকার নিরাপত্তায় পুলিশে দরবার সংগঠনের

বিদ্যালয়ের এক সহ শিক্ষিকার দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন কোথায় গিয়েছিল জানি না। তবে প্রধান শিক্ষিকার জন্যই বিদ্যালয়ের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:০৫
শ্রীরামপুর পুলিশ স্টেশন।

শ্রীরামপুর পুলিশ স্টেশন। —ফাইল চিত্র।

শ্রীরামপুরের রমেশচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের গোলমাল মঙ্গলবার কার্যত রাস্তায় নেমেছিল। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পড়াশোনা শিকেয় ওঠে। ওই ঘটনা নিয়ে বুধবার শ্রীরামপুর থানায় এসে আইসি সুখময় চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করলেন স্কুল ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড্‌ সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর ১৪ জন সদস্য।

সংগঠনের হুগলি শাখার সম্পাদক অয়ন বসু বলেন, ‘‘স্কুল চলাকালীন অন্যায্য ভাবে কয়েক জন সহ শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর পিকেটিং করে অচলাবস্থা সৃষ্টির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করতে আসা।’’ সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণবকুমার নায়েক বলেন, ‘‘পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুল পরিচালন কমিটি এবং শিক্ষা দফতরে প্রধান শিক্ষিকার নিরাপত্তার বিষয়ে আবেদন জানাব।’’

বিদ্যালয়ের এক সহ শিক্ষিকার দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন কোথায় গিয়েছিল জানি না। তবে প্রধান শিক্ষিকার জন্যই বিদ্যালয়ের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। ওঁর জন্য আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি শিক্ষা দফতরের আওতায়। তারাই ব্যবস্থা নেবে। স্কুলের শান্তিশৃঙ্খলা ও শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুল হয়েছে। কোনও অশান্তি হয়নি। তবে, ছাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল। প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে আসেননি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের গোলমাল হয়। তার রেশ ধরেই মঙ্গলবারের ঘটনা। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষিকাদের একাংশের সঙ্গে অভিভাবকদের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশ আসে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ তোলেন, প্রধান শিক্ষিকার জন্যই পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি কথায় কথায় পুলিশ ডাকেন। নানা কারণে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। এতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। পক্ষান্তরে, প্রধান শিক্ষিকা লোপামুদ্রা সাঁতরা অভিযোগ করেন, মিড ডে মিল-সহ নানা দুর্নীতি, শিক্ষিকাদের সময়ে ক্লাসে না যাওয়ার প্রতিবাদ করাতেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়।

ওই ঘটনা নিয়ে বিশেষত ছাত্রীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় অভিভাবক থেকে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। সমাজমাধ্যমে অনেকেই ঘটনার নিন্দায় সরব হন। শিক্ষিকারা এই ভাবে গোলমালে জড়িয়ে পড়লে ছাত্রীরা কী শিখবে, এমন প্রশ্নও অনেকে তুলছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Serampore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy