Advertisement
E-Paper

হাওড়ার শিবপুর সেন্ট্রাল বটানিক্যাল ল্যাবরেটরিতে চালু হল দেশের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা গ্যালারি ও গবেষণাকেন্দ্র

১৯৯৬ সাল থেকে অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা করে আসছে বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ভারতী, মৈত্রেয়ী ও দক্ষিণ গংগোত্রী নামে তিনটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরী করে ভারত। এখানে কোনও বড় গাছপালা জন্মায় না। জন্মায় শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪৭
উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি বিভাগের প্রধান অমলকুমার মণ্ডল এবং বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা প্রতিভা গুপ্ত।

উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি বিভাগের প্রধান অমলকুমার মণ্ডল এবং বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা প্রতিভা গুপ্ত। —নিজস্ব চিত্র।

বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে চালু হল দেশের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা গ্যালারি ও গবেষণা কেন্দ্র। হাওড়ার শিবপুর সেন্ট্রাল বটানিক্যাল ল্যাবরেটরিতে এই গ্যালারি চালু হয়েছে। এই গ্যালারির উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক দীপককুমার কর। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি বিভাগের প্রধান অমলকুমার মণ্ডল এবং বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা প্রতিভা গুপ্ত।

১৯৯৬ সাল থেকে অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা করে আসছে বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ভারতী, মৈত্রেয়ী ও দক্ষিণ গংগোত্রী নামে তিনটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরী করে ভারত। এখানে কোনও বড় গাছপালা জন্মায় না। জন্মায় শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ। যেগুলির মধ্যে অনেক প্রজাতি খালি চোখে দেখাও যায় না। পরিবেশে অক্সিজেনের পঞ্চাশ শতাংশ দেয় এই সমস্ত শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়ন দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাপমাত্রার হেরফের হলে শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদের উপর পড়ে প্রভাব। ‌এর ফলে পরিবেশ ও জীবজগতের উপরেও পড়ে প্রভাব। এই কারণে অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা চলছে। ২০১৪ সালে দেশের প্রথম মহিলা গবেষক হয়ে সেখানকার ভারতীয় গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেছেন প্রতিভা গুপ্ত। বর্তমানে তিনি বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা।

প্রতিভা বলেন, “প্রতিকূলতার মধ্যে সেখানে গবেষণা করে আসছে গবেষকেরা। সেই কাজ অনেক কঠিন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সেখানকার বরফ ও জলের মধ্যে থাকা শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ কী অবস্থায় রয়েছে, সে সব সবার কাছে তুলে ধরার জন্য অ্যান্টার্কটিকা গ্যালারি তৈরি করা হল। সেই সমস্ত প্রজাতির উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা হবে এখানকার ল্যাবরেটরিতে। শিক্ষার্থীদের যা খুবই কাজে লাগবে।”

Botanical Survey of India Howrah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy