মদের আসরে বচসা, বোতল দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ। — প্রতীকী ছবি।
হুগলির পান্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামে জিটি রোডের পাশে একটি হার্ডওয়ারের দোকানের গুদাম থেকে বছর চল্লিশের বাবুলাল মান্ডিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বাবুলালের।
জানা গিয়েছে, দোকান মালিক, তাঁর ড্রাইভার-সহ চার জন মিলে রবিবার রাতে দোকানের গুদামে বসে বিয়ার পান চলছিল। তখনই নিজেদের মধ্যে কোনও কারণে বচসা বেধে যায়। এর পর বাবুলালের মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করা হয়। বাবুলালের ভাইপো সুভাষ মান্ডি বলেন, ‘‘কাকা আহত অবস্থায় পরে আছেন খবর পেয়ে আমরা আসি। দেখি, হার্ডওয়ারের দোকানের ভিতরে পড়ে রয়েছেন কাকা। তড়িঘড়ি গাড়িতে তুলে পান্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখান থেকে চুঁচুড়া হাসপাতালে।’’ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে গতকাল রাতে মৃত্যু হয় বাবুলাল মান্ডির।
ঘটনায় সুভাষ চট্টোপাধ্যায় নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুভাষের দোকানেই কাজ করতেন বাবুলাল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার জন মিলে মদ্যপান করার সময় নিজেদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। তখনই সুভাষ বিয়ারের বোতল দিয়ে বাবুলালের মাথায় আঘাত করেন। তাতে বোতল ভেঙে যায়। পরে সেই ভাঙ্গা বোতল দিয়ে বাবুলালের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়।
মৃতের স্ত্রী সোম্বারি বলেন, ‘‘মদ খেলেই সুভাষ অন্য ধরনের আচরণ করতেন। এর আগেও অনেক মানুষের সঙ্গে ঝামেলা করেছেন, মারপিটও হয়েছে। গতকাল (রবিবার) ঠিক কী হয়েছিল জানি না। বিকেলের দিকে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে সুভাষের দোকানের বাইরে সাইকেল দেখতে পাই। ভিতরে জখম অবস্থায় পড়েছিলেন বাবুলাল। সুভাষকে দেখি বাইরে চেয়ারে বসে মোবাইল ঘাঁটছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy