দেবাশিস দাশ
সলপের কাছে পশ্চিম কলকাতা উপনগরী তৈরি হওয়ার সময়েই ‘চুরি’ হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার অন্যতম নিকাশি খালের একটি বড় অংশ। এর পরে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা ওই খালের দু’পাশের বেশ কিছুটা অংশ যথেচ্ছ ভাবে বুজিয়ে গড়ে উঠেছে কল-কারখানা, এমনকি বসত বাড়িও। যার জেরে ৪০ ফুট চওড়া খাল এখন মেরেকেটে নেমে এসেছে ১৫-২০ ফুটে। শুধু তা-ই নয়, খালের সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন নিকাশি নালা পাঁচিল তুলে বন্ধ করে দিয়ে তার উপরে গড়ে উঠেছে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। সেই সঙ্গেই অভিযোগ, খালের আশপাশের ঝিল বুজিয়ে দিয়ে সেখানেও বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলেরই নেতাদের একাংশের দিকে। অভিযোগ, ‘কাটমানি’র লোভে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাকে রুদ্ধ করে দিয়ে এমন আত্মঘাতী কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে হাওড়ার অন্যতম প্রধান নিকাশি নালা ড্রেনেজ চ্যানেল লাগোয়া বালিটিকুরি খালের দু’পাশে।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরে টানা বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছিল ছ’নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বালির নিশ্চিন্দা, আনন্দনগর, লিলুয়ার জয়পুর, চামরাইল, ঘুঘুপাড়া এবং হাওড়া পুরসভার ৫০ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। সে বারই প্রথম কোমর সমান জলের তলায় চলে গিয়েছিল জয়পুর সংলগ্ন জাতীয় সড়ক। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। কোথাও কোথাও সেই জল নামতে মাসাধিক কাল সময় লেগেছিল। নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন হাওড়া পুরসভা ও বালি-লিলুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা।