ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায় ওরফে নাদু। —নিজস্ব চিত্র।
গাঁজার ব্যবসা তাঁদের পারিবারিক কারবার। সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই বললেন সাঁকরাইলকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা নিমাই রায়। অভিযোগের সুরে হাওড়ার বিজেপি কিসান মোর্চার নেতা নিমাই ওরফে নাদু জানান, দলের লোকেরাই তাঁকে ‘ফাঁসিয়ে’ দিয়েছে।
শনিবার সাঁকরাইলের নবঘরা সর্দার পাড়ার একটি বাড়ি থেকে প্রায় ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। বাড়িটি বিজেপি নেতা নিমাইয়ের। বিজেপির কিসান মোর্চার নেতার স্ত্রী আবার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনার সঙ্গে গত বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকি, ধৃতের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রমুখের ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
রবিবার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী-সহ মোট তিন জনকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজার মধ্যে ধৃত নিমাই রায়ের স্বীকারোক্তি, তিনি গাঁজার ব্যবসাই করেন এবং তৃণমূল নয়, তাঁর দলের লোকেরা তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। সাঁকরাইলের বিজেপি নেত্রী এবং কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা রূপার স্বামী নিমাই রায় এবং তার দুই সাগরেদ সত্যদেও সাহানি এবং আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁদের হাওড়া আদালতে তোলা হয় রবিবার। আদালতে তোলার আগে বিজেপির কিষান মোর্চার নেতা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন গাঁজা নিয়ে ব্যবসা করি। এটা আমার পারিবারিক ব্যবসা। আগে বাবাও এই ব্যবসা করতেন।’’ তবে মাঝে কিছু দিন গাঁজার ব্যবসা বন্ধ ছিল। আবার ‘পারিবারিক ব্যবসা’ চালু করেছিলেন বলে জানালেন ধৃত নিমাই। যদিও এই অবৈধ ব্যবসার পিছনে আরও কেউ আছেন কি না, খোলসা করেননি ধৃত নেতা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। বিচারক ধৃতদের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার এনডিপিএস কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy