Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Mystery Death in Howrah

হাওড়ায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা-মেয়ের দেহ! কী ভাবে মৃত্যু? শোরগোল এলাকায়, তদন্তে পুলিশ

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতাদের নাম আয়েশা খাতুন এবং শারজাহা খাতুন। ৫৫ এবং ৩৫ বছর বয়সি ওই দুই মহিলা সম্পর্কে মা-মেয়ে। সোমবার তাদের দেহ উদ্ধার করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। দেহও উদ্ধার হয়েছে।

death

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৩১
Share: Save:

মা এবং মেয়ের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য হাওড়ার বসিরুদ্দিন মুন্সি লেন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ফ্ল্যাটের মধ্য থেকে আয়েশা খাতুন (৫৫) এবং শারজাহা খাতুন (৩৫) নামে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। কী ভাবে মা-মেয়ের মৃত্যু হল, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আয়েশার দুই মেয়ে। এক মে য়ে তাঁর সঙ্গে থাকেন। অন্য এক মেয়ে বিবাহিতা। কাছাকাছিই তাঁর বাড়ি। সোমবার সকালে মা এবং বোনকে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাননি তিনি। ভয় পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ ডাকাডাকির পরও মেয়ে কারও সাড়া না পেয়ে তাঁরা খবর দেন পুলিশে।

পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। দেখা যায় ঘরে একটি খাটে শুয়ে রয়েছেন শারজাহা। মেঝেতে তাঁর মা। দু’জনের শরীর চাদরে মোড়া। পরীক্ষা করে দেখা যায়, কারও শরীরে তখন আর প্রাণ নেই। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হতে পারে মা-মেয়ের। মৃতার পরিজনরা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে প্রচুর ইঁদুরের উৎপাত। ইঁদুর মারার জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করেছিলেন আয়েশা এবং শারজাহা। খাবারে ওই রাসায়নিক মিশিয়ে রাখা হত। সেখান থেকে কোনও ভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে পুলিশ। মৃতদেহ দুটির ভিসেরা পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা আয়েশার বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দু’জনে দোকানে কাজ করতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mystery Death in Howrah Death body recovery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE