ছোট ভাইকে সাইকেলে চাপিয়ে আঁকার ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছিলেন দিদি। আচমকা ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়লেন দিদি এবং ভাই। মৃতে হল খুদের। গুরুতর জখম দিদি। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতের নাম সায়ন প্রধান। তার বয়স মাত্র ৭ বছর। তারকেশ্বর বল্লভীপুর কৌসের আলি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াকে তার দিদি রবিবার সাইকেলে চাপিয়ে আঁকার ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারকেশ্বরের বালিগড়ি-২ পঞ্চায়েতের মনোহরপুর এলাকায় একটি ট্র্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের সাইকেলে ধাক্কা মারে। দিবি এবং ভাই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। ছোট্ট সায়নের মাথায় চোট লেগেছিল। রক্তাক্ত হন দিদিও। স্থানীয়েরা দু’জনকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সায়নকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সায়নের দিদি দীপ্তি প্রধানের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, সায়ন এবং দীপ্তির বাড়ি বালিগড়ি-২ গ্রাম পঞ্চয়েতের বল্লভিপুর এলাকায়। রবিবার দীপ্তি সাইকেলে ভাইকে বসিয়ে মির্জাপুরে একটি আঁকার ক্লাসে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা হয়। ইতিমধ্যে ওই ট্র্যাক্টরচালককে আটক করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ট্র্যাক্টরটিও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি দিন গ্রামের ওই রাস্তা দিয়ে বড় বড় গাড়ি যাতায়াত করে। অন্য দিকে, রাস্তার পাশে জড়ো করে রাখা আছে বালি, ইট ইত্যাদি। এর জেরে প্রতি দিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগে থাকে। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও এর সুরাহা হয়নি। স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ শহিদ আলি বলেন, ‘‘গ্রামের রাস্তায় বড় বড় গাড়ি ঢোকা বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি মৃত শিশুর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। শিশুমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।