E-Paper

হদিস ২৩৪জন অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার

নাবালিকা বিয়ে বন্ধে নিয়মিত প্রচার চলে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অনেক নাবালিকার বিয়ে আটকানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ০৯:২৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রত্যন্ত গ্রাম নয়, উলুবেড়িয়া শহরেই গত ছ’মাসে ২৩৪ জন অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার সন্ধান পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুর কর্তৃপক্ষের!

নাবালিকা বিয়ে বন্ধে নিয়মিত প্রচার চলে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অনেক নাবালিকার বিয়ে আটকানো হয়। তারপরেও সমীক্ষায় ওই পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন পুরকর্তাদের একাংশ মানছেন, যত আটকানো গিয়েছে, তার তুলনায় নাবালিকা বিয়ের সংখ্যা যে অনেক বেশি, এতেই প্রমাণিত। নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা রোধে বুধবার পুরভবনে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। পুরকর্তারা ছাড়াও ছিলেন পুলিশ, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা।

পুরপ্রধান অভয় দাস বলেন, ‘‘নাবালিকার মাতৃত্ব হল বিয়ের ফল। নাবালিকা বিয়ে বন্ধে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘মূলত দরিদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণির পরিবারেই নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা বেশি। নাবালিকা বিয়ের কুফল নিয়ে তাদের আরও বোঝাতে হবে।’’

শ্যামপুর ২ ব্লকে গত অর্থবর্ষে প্রায় ১৩০০ নাবালিকা মায়ের সন্ধান পেয়েছিল প্রশাসন। সেখানেও নাবালিকা বিয়ে রোধে ব্যাপক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। ব্লক প্রশাসনের দাবি, এতে নাবালিকা বিয়ে সামান্য হলেও কমেছে। ওই ব্লকে যে সব এলাকায় নাবালিকা মায়ের সন্ধান মেলে, তার অনেকটাই প্রত্যন্ত। উলুবেড়িয়ার মতো শহরে এত অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার সন্ধান মিলল কী করে?

পুরসভা সূত্রের খবর, তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সন্তানসম্ভবারা টিকা ও পুষ্টিকর খাবার নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে সমীক্ষা করেই ওই অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাদের খোঁজ মিলেছে। সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আরও নিখুঁত তথ্যের জন্য শহরের প্রতিটি নার্সিংহোমকে নাবালিকারা সন্তান প্রসব করলে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy