Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Domjur Hospital

ডোমজুড়ের হাসপাতালে পরিত্যক্ত ঘরে গরু! বেআইনি খাটাল নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস প্রশাসনের

ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসপাতালের পাঁচিলের বাইরে খাটাল দেখেছেন তিনি। তবে হাসপাতালে গরু চরে কি না, তা তাঁর জানা নেই।

ডোমজুড় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে রাখা রয়েছে গরু।

ডোমজুড় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে রাখা রয়েছে গরু। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ডোমজুড় শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫০
Share: Save:

ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে রাখা রয়েছে গরু! ঘরের মধ্যে মজুত করা রয়েছে গরুর খাবারও। আরও অভিযোগ, ডোমজুড়ের গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরেই চরানো হয় তাদের। ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, হাসপাতালের পাঁচিলের বাইরে খাটাল দেখেছেন তিনি। তবে হাসপাতালে গরু চরে কি না, তা তাঁর জানা নেই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের মন্ত্রীর আশ্বাস, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডোমজুড়ে মূল হাসপাতাল ভবনের পিছনে সেমিনার হলের কাছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। অভিযোগ, সেই ঘরের একটিতে গরু বাঁধা থাকে। অন্য একটি ঘরে গরুর খাওয়ার জন্য খড় মজুদ করা থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে চার-পাঁচটি গরু থাকে। খাটালের ব্যবসা চালান স্থানীয় যুবক শেখ সাহেব। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের বাইরে একটি গোয়ালঘর রয়েছে। সেই গোয়ালঘরে প্রবেশের জন্য হাসপাতালের দেওয়ালেই রয়েছে টিনের দরজা। সেই দরজা দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই টিনের দরজায় ঝোলানো তালার চাবি হাসপাতালের কারও কাছে নেই। চাবিটি থাকে খাটালের মালিক সাহেবের কাছে। গরু চরানোর জন্য তিনি রোজ সকালে টিনের দরজা খুলে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেন। তার পর সারাদিন হাসপাতালের মাঠে গরু চরে। কিছু গরু রেখে দেওয়া হয় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে।

সাহেব জানিয়েছেন, তিনি খাটাল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। টিনের দরজাটি আদতে হাসপাতালের ময়লা ফেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যদিও তার তালা এবং চাবি তাঁর কাছে থাকে। তিনি ওই দরজা খুলে গরু রাখেন হাসপাতাল চত্বরে। ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছরের জুলাই মাসে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালের পাঁচিলের বাইরে খাটাল দেখেছিলেন। সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি বিডিও, জেলাশাসক এবং পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে হাসপাতালে গরু চরে কি না, তাঁর জানা নেই। বিষয়টি আবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ পোস্টিংয়ের পাশাপাশি হাসপাতালের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হাসপাতাল মানুষের চিকিৎসার জন্য, গরু রাখার জায়গা নয়। তাই এ বিষয়ে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দেখা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

cow
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy