দু’টি পঞ্চায়েত দখলের পর বিজয় মিছিল। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ায়। নিজস্ব চিত্র।
পান্ডুয়া ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বৃহস্পতিবার আটটিতে বোর্ড গঠন হল। এর মধ্যে পাঁচটিতে ক্ষমতা পেয়েছিল তৃণমূল, একটিতে সিপিএম। সেখানে তারাই বোর্ড গড়ে। তবে যে দু’টি ত্রিশঙ্কু ছিল, সেখানে বোর্ড গড়েছে বামেরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আটটি পঞ্চায়েতের সামনে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। শুধু জয়ী প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভবনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন। বেলা ১২টা থেকে শাসক ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের ভোটগ্রহণ হয়।
ইটাচুনা-খন্যান গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। তার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১০টি আসন। সিপিএম ৮টি, সিপিএম সমর্থিত ১টি, কংগ্রেস ৩টি আসন পেয়েছিল। সেখানে ভোটাভুটিতে এ দিন কংগ্রেস এবং নির্দল সমর্থন করে সিপিএমকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য ওই পঞ্চায়েত থেকে সরে যেতে হল তৃণমূলকে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা উত্তম মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ উন্নয়ন চান। সিপিএম আমাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখেছেন। তাই আমরা বামেদের সমর্থন জানিয়েছি।’’
জামগ্রাম-মণ্ডলাই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৪টি। সিপিএম ৭টি, তৃণমূল ৬টি এবং নির্দল ১টি আসন পেয়েছিল। এ দিন ভোটাভুটির সময়ে নির্দল প্রার্থী সমর্থন করেন সিপিএমকে। প্রধান সিপিএমের হলেও নির্দল প্রার্থী উপপ্রধান পদে নিযুক্ত হন।
পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টি আমাদের দখলে। তিনটি পঞ্চায়েত হারের জন্য আমরা দলীয় স্তরে বিশ্লেষণ করছি।’’ পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘মানুষের রায়ে আমরা তিনটি পঞ্চায়েত দখল করেছি। এই তিনটি পঞ্চায়েতে এলাকার উন্নয়ন করব।’’ বোর্ড গঠনের পরে লাল আবির নিয়ে পদযাত্রা করে সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy