E-Paper

রাস্তায় বাস মিলবে তো, প্রশ্ন হুগলি জুড়ে

চুঁচুড়া-তারকেশ্বর ১৭ নম্বর, চুঁচুড়া-হরিপাল ১৮ নম্বর এবং চুঁচুড়া-তারকেশ্বর ভায়া মগরা, মহানাদ ২৩ নম্বর রুট মিলিয়ে প্রায় ৫০টি বাস চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৫
দূরপাল্লা বাসের জন্য অপেক্ষা। রবিবার আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে।

দূরপাল্লা বাসের জন্য অপেক্ষা। রবিবার আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে।

তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের কারণে আজ, সোমবার হুগলি জেলা থেকে বাস কার্যত উধাও হতে চলেছে। লোকাল থেকে দূরপাল্লার রুটের প্রায় সব বাসই শাসক দলের তরফে ভাড়া করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার বিভিন্ন রুটে বাস কিছুটা কম চলেছে। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন পরিস্থিতির আঁচ ভালই পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার উপরে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলায় অসংখ্য জলযাত্রীদের যাতায়াতের ফলে ভোগান্তি বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সে ক্ষেত্রেও বিশেষত তারকেশ্বর-হাওড়া শাখার ট্রেনেও বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কা থাকছে।

চুঁচুড়া-তারকেশ্বর ১৭ নম্বর, চুঁচুড়া-হরিপাল ১৮ নম্বর এবং চুঁচুড়া-তারকেশ্বর ভায়া মগরা, মহানাদ ২৩ নম্বর রুট মিলিয়ে প্রায় ৫০টি বাস চলে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৪০টি বাস ‘বুক’ হয়েছে। রাতের মধ্যে বাকিগুলিও ভাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বাস মালিক সংগঠনের এক কর্মকর্তা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘সোমবার ভোগান্তি হবেই। কারণ, ওই তিনটি রুটের বাসে অনেকেই নানা কাজে চুঁচুড়ায় আসেন।’’

শ্রীরামপুর-সল্টলেক ২৮৫ নম্বর রুটে ১৭টি বাস চলে। এই বাসে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বহু কর্মী যাতায়াত করেন। শ্রীরামপুর মহকুমা বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামাণিক জানান, এই রুটের সব বাসই একুশের সমাবেশের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। ৪০ (শ্রীরামপুর-বীরশিবপুর), ২৬সি (শ্রীরামপুর-মশাট) রুটেরও একটিও বাস পড়ে নেই। শুধু তা-ই নয়, শ্রীরামপুর থেকে তালতলা যাওয়ার ট্রেকারও থাকছে না। শ্রীরামপুর থেকে চণ্ডীতলাগামী ট্রেকার শুধু চলবে বলে জানা গিয়েছে।

একই পরিস্থিতির সম্ভাবনা আরামবাগেও। তবে, অন্যান্য বছর শহিদ সমাবেশের আগের দিনই এই মহকুমা থেকে বাস পুরোপুরি উঠে যায়। এ বার তা হয়নি। স্থানীয় রুটগুলির আড়াইশো বাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ চলেছে। দূরপাল্লার বাসও একেবারে উধাও হয়নি।

আরামবাগ বাস-মিনিবাস অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মধুমিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাস মালিক সংগঠনগুলির সিদ্ধান্ত মতোই আমরা এ দিন পর্যন্ত পরিবহণ ব্যবস্থায় আঁচ পড়তে দিইনি। আমাদের সক্রিয়তায় কেউ বাস আটকানোরও সাহস দেখাননি।’’ হুগলি ইন্টার রিজিয়ন এক্সপ্রেস বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মির্জা গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘‘রাস্তায় আটকানোর ঝুঁকি নিয়েও যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চালিয়েছি।’’ চুঁচুড়া থেকে একটি রুটের এক বাসমালিক বলেন, ‘‘বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও টোটো নিয়ন্ত্রণ করা গেল না। তাই বাসে রোজ লাভ হয় না। হলেও যৎসামান্য। এই অবস্থায় রিজ়ার্ভে গেলে কিছু টাকার মুখ দেখা যায়।’’ বাস মালিকদের সূত্রের খবর, চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলায় সমাবেশে যেতে বাসপ্রতি ভাড়া মিলছে আট হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে হাজার দেড়েক টাকা লাভ হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arambagh TMC Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy