—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে মঙ্গলবার ভোরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বন্দির। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নারায়ণ রীত (৩৮)। এ দিন ভোরে জেলের বন্দিরা নারায়ণকে শৌচাগারে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এর পরেই কারারক্ষীরা ওই বন্দিকে দ্রুত হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
বেলুড়ের রাজেন শেঠ লেনের বাসিন্দা ছিলেন নারায়ণ। গত এপ্রিল মাসে বাবা হারাধন রীতকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। আদালতের নির্দেশে নারায়ণ জেল হেফাজতে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ একটি চটকলে কাজ করতেন। বছর ছয়েক আগে তাঁর স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে নারায়ণকে ছেড়ে চলে যান। এর পরে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক মহিলাকে বিয়ে করেন ওই যুবক। কিন্তু বনিবনা না হওয়ার কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনিও নারায়ণকে ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকেই ওই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই অবসাদের জেরেই বাবার ঠিক মতো পরিচর্যা করতে পারবেন না জেনে তাঁকে নারায়ণ খুন করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, এই ঘটনার পরে ওই যুবক লিলুয়া স্টেশনে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হতে গেলে আরপিএফ তাঁকে ধরে ফেলে। পরে বেলুড় থানার পুলিশ নারায়ণকে গ্রেফতার করে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাস থেকে নারায়ণ হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে ছিলেন। এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর পরিবারের লোকজনকে সংশোধনাগার থেকে জানানো হয়। এই মৃত্যু নিয়ে হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক অমৃতা বর্মণ রায় জানান, এক জন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু করেছেন। যে হেতু বিচারাধীন বন্দির মৃত্য়ু, তাই আদালতের নির্দেশ মেনেই সব কিছু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy