Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
Police officer

Police Officer: উদ্ধারের এক মাস পর শনাক্ত রাজারহাট থানার নিখোঁজ পুলিশ অফিসারের দেহ!

পার্থের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি পার্থ। তখন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

রাজারহাট থানার সাব-ইনস্পেক্টর পার্থ চৌধুরী।

রাজারহাট থানার সাব-ইনস্পেক্টর পার্থ চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বেলুড় শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৪৪
Share: Save:

দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন রাজারহাট থানার সাব ইনস্পেক্টর পার্থ চৌধুরী (৪৬)। শুক্রবার হাওড়া পুলিশ মর্গে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকেরা। যদিও দেহটি উদ্ধার হয়েছিল গত ২০ অক্টোবর। এত দিন ধরে তা মর্গেই পড়েছিল। কেন উদ্ধার হওয়ার পর এত দিন মর্গে পড়েছিল দেহ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

রাজারহাট থানায় কর্তব্যরত ছিলেন পার্থ। যদিও স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে বেলুড়ের আবাসনে থাকতেন তিনি। তাঁর মা এবং ভাই থাকেন চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে। পার্থের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি পার্থ। তখন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

এর পর কেটে যায় বেশ কয়েক দিন। ২০ অক্টোবর বালি ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তার পর থেকে সেই দেহ রাখা ছিল হাওড়ার পুলিশ মর্গে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হলেও তাঁর মোবাইল পাওয়া যায়নি।

দীর্ঘ দিন দেহ মর্গে থাকার পর সম্প্রতি পার্থের নিখোঁজ ডায়েরি পুলিশের নজরে আসে। এর পর দেখা যায়, বালি খালের কাছে উদ্ধার হওয়া সেই দেহ নিখোঁজ পুলিশ অফিসার পার্থের। তার পরই পার্থের পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া হয়। শুক্রবার তাঁরা পার্থের দেহ শনাক্ত করেন।

এক মাসের বেশি সময় দেহ উদ্ধার হলেও, এত দিন কেন শনাক্ত করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্থের ভাই শুভময় চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। সাংসারিক কোনও অশান্তি থেকেই পার্থ বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। যদিও পার্থের স্ত্রী এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE