Advertisement
E-Paper

Bengal flood: জল নামছে, জাগছে ডাঙা

মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণে ঘেরা দুই পঞ্চায়েতই কার্যত জলের তলায় চলে যায়। ৬০ হাজার বাসিন্দা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ০৬:২৮
পোষ্যকে নিয়ে ত্রাণ শিবিরের পথে। আমতার জয়পুরে।

পোষ্যকে নিয়ে ত্রাণ শিবিরের পথে। আমতার জয়পুরে। নিজস্ব চিত্র।

কয়েকটি গ্রাম বাদ দিলে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকের বেশিরভাগ এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালের বৃষ্টিতে দুর্গতদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। বেলার দিকে বৃষ্টি থেমে যায়। ত্রাণ শিবির থেকে ফিরতেও শুরু করেন অনেকে।

ডিভিসি-র ছাড়া জলে উদয়নারায়ণপুরের ১০টি এবং আমতা-২ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হন তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ। উদয়নারায়ণপুরের কুর্চি-শিবপুর, পাঁচারুল, গড়ভবানীপুর-সোনাতলা এবং ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে মোট ২২টি গ্রাম এ দিনও জলের তলায় ছিল। সেখানে ত্রাণের কাজ জোরকদমে চলছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। বিধায়ক সমীর পাঁজা নিজেই নৌকায় করে কয়েকটি গ্রামে এ দিন রান্না করা খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু করার নেই। সব দুর্গত মানুষ ভিটে ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আসতে চাননি। তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা।’’

তলিয়ে যাওয়া আমতা-চাঁপাডাঙা রাজ্য সড়কও আংশিক জেগে উঠেছে। তবে, যান চলাচল শুরু হয়নি এ দিনও। জেগে ওঠা নলকূপগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে বলে জানান বিডিও প্রবীর শীট। তিনি বলেন, ‘‘নলকূপগুলি ডুবে গিয়েছিল। তাই জীবাণুমুক্ত না করা হলে তার জল খাওয়া যাবে না।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তারপরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে। তবে চাষ এবং প্রাণিসম্পদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা
আশঙ্কা করছি।’’

প্লাবনে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয় আমতা-২ ব্লকের ‘দ্বীপাঞ্চল’ বলে পরিচিত ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এবং ভাটোরা— এই দুই পঞ্চায়েত। মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণে ঘেরা দুই পঞ্চায়েতই কার্যত জলের তলায় চলে যায়। ৬০ হাজার বাসিন্দা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। দু’জায়গাতেই জল অনেকটা নেমে গিয়েছে। জেগে উঠেছে রাস্তাঘাট।

ঘোড়াবেড়িয়ার বাসিন্দা হারুন রশিদ বলেন, ‘‘রাস্তা জেগে ওঠায় বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছি। সমস্যা কাটছে।’’ জল ব্লকের অন্যত্রও। তবে, ঝিকিরা এবং ঝামটিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে এখনও জলমগ্ন। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘কিছু এলাকায় জল কমলেও ত্রাণের কাজ এখনই বন্ধ করা হবে না।’’ আমতার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, ‘‘বহু জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা আছে। বন্যার হাত ধরেই আসে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। প্রশাসনের সতর্ক থাকা দরকার।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘প্লাবিত এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ ব্যাপারে আমতায় এসে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, স্বাস্থ্য দফতর প্রতিটি গ্রামে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রেখেছে। যাতে বন্যা পরবর্তী সংক্রমণ না হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy