Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চেয়ে ফের চিঠি

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ অডিটে একই অ্যাকাউন্টে একাধিক বার ক্ষতিপূরণ ঢুকে যাওয়ার ত্রুটি ধরা পড়ায় সেগুলি উদ্ধারের কাজ চলছে।”

দু’বার ক্ষতিপূরণে পাওয়া উপভোক্তাদের বাড়ির হাল। নিজস্ব চিত্র

দু’বার ক্ষতিপূরণে পাওয়া উপভোক্তাদের বাড়ির হাল। নিজস্ব চিত্র

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৫
Share: Save:

চার বছর পার হতে চলল। আমপানে মাটির ঘর-বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির যে সব অভিযোগ ছিল, তার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। তার উপরে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ একই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার করে ঢুকে যাওয়া ক্ষতিপূরণের টাকাও উদ্ধার হয়নি। এরই মধ্যে এ বার হুগলির বিভিন্ন ব্লকে দু’বার করে টাকা পাওয়া উপভোক্তাদের কাছে টাকা ফেরতের জন্য ফের সমন পাঠানো হল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিশেষ অডিটে একই অ্যাকাউন্টে একাধিক বার ক্ষতিপূরণ ঢুকে যাওয়ার ত্রুটি ধরা পড়ায় সেগুলি উদ্ধারের কাজ চলছে।”

ব্লক পিছু গড়ে ৯০-১২০ জন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে তাঁর প্রাপ্য ৫ হাজার টাকা দু’বার করে ঢুকেছে বলে ব্লক প্রশসানগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই ভুল জেলা এবং রাজ্যস্তর থেকে হয়েছে বলেও ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিকদের অভিযোগ। ওই আধিকারিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, গত দু’বছর দু’দফা সমন পাঠানোর পরে ফের গত ২ ফেব্রয়ারি টাকা ফেরতের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ব্লক পিছু, ২-৪ জন টাকা ফেরত দিলেও অধিকাংশ তা দেননি। বাকিটা ঘর মেরামতে খরচ হয়ে গিয়েছে বলেদাবি ওই উপভোক্তাদের। এমনকী, যাতে টাকা ফেরত না চাওয়া হয়, তা নিয়ে লিখিত আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন তাঁরা।

বিডিওরা জানিয়েছেন, জেলার নির্দেশিকা মতোই একই অ্যাকাউন্টে একাধিক বার ক্ষতিপূরণ জমাহওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। টাকা দিতে দেরি হবে বা দিতে পারবে না জানিয়ে বেশ কিছু আবেদন পড়ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও হচ্ছে।

গোঘাটের মুক্তারপুর গ্রামের ছয় উপভোক্তা নিতাই দোলুই, দিলীপ দোলুই, চণ্ডী দোলুই, উত্তম দোলুই, শিবরাম দোলুই এবং ময়না বাগ ২০২২ সালেই জানিয়ে দিয়েছেন, যা ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কার করতে ১৫-২০ হাজার টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। ১০ টাকা পেয়ে সেই চাপ কিছুটা কমেছিল। এখন তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা ফের চাইলে সেটা তাঁরা দিতে পারবে না।

নিতাই বলেন, “সকলেই দিনমজুরি করে সংসার চালাই। একশো দিনের কাজ বন্ধ। এই অবস্থায় যেখানে আমাদের আরও সহয়তা দরকার, সেখানে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চাইছে কী করে সরকার?” একই সুর তারকেশ্বর ব্লকের চাঁপাডাঙার বুল্টি সাউ-সহ পুরশুড়া, খানাকুল-১ ও ২, আরামবাগের অনেকেরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE