প্রতিবাদ: চুঁচুড়ার পিপুলপাতিতে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। ছবি: তাপস ঘোষ
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-সহ নানা দাবিতে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলল হুগলির সরকারি কার্যালয়গুলিতে। কোথাও পুরোদস্তুর চলল কাজ। আবার কোথাও বিক্ষোভ, মিছিলে বন্ধ রইল যাবতীয় পরিষেবা। তবে জেলার সার্বিক পরিস্থিত প্রসঙ্গে জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি বলেন, “প্রতিদিনের মতোই সমস্ত দফতরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলেছে। সার্বিক ভাবে ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশ হাজিরার হিসাব পেয়েছি।’’
আরামবাগ মহকুমা দফতরে ৯০ শতাংশ কর্মীদের হাজিরা ছিল বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই। জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দাবি, তাদের ১০০ শতাংশ কর্মীই হাজির ছিলেন। প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, ভূমি রাজস্ব দফতরেও কর্মীদের হাজিরা অন্য দিনের মতো ছিল বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিকদের। তবে দফতর এলেও ৫ থেকে ৮ শতাংশ কর্মী এ দিন হাজিরা খাতায় সই করেননি বলে জানা গিয়েছে। আরামবাগের পুলিশ আদালতের কাজ ছাড়া এ দিন হুগলির সব আদালত অচল ছিল।
আরাবাগ, গোঘাট ও খানাকুলের দু’টি করে ব্লক, পুরশুড়া ব্লকের কয়েকজন কর্মী পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এ দিন। আরামবাগ শহরে মিছিল করেন কর্মীদের একাংশ। জিরাটে বিডিও কার্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান সরকারি কর্মচারীরা। শ্রীরামপুরে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় খোলা থাকলেও তেমন কাজকর্ম হয়নি। অনেক কার্যালয়ে কর্মচারীর হাজিরা ছিল কম। প্রয়োজনে এসে ফিরে যেতে হয় অনেক মানুষকে। তবে বলাগড়ের বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, “অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও কার্যালয় খোলা ছিল। ১০০ শতাংশ হাজিরা ছিল। সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়নি।”
তবে এ দিনের ধর্মঘট সফল বলেই দাবি রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির বলাগড় ব্লকের সদস্য মানিক মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘‘সব সরকারি কর্মীরা পথে নেমেছেন। কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এরপরও ডিএ-সহ তিন দফা দাবি রাজ্য সরকার না মানলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেনসরকারি কর্মচারীরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy