Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪
Drowning Death

ছেলেকে সাঁতার শেখাতে পুকুরে নেমে হুগলিতে জলে ডুবে মৃত্যু বাবা ও ছেলের

সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দ বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পাড়ে জুতো পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুকুরেই খোঁজ শুরু করেন স্থানীয়েরা।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০২:১০
Share: Save:

ছেলেকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন পুকুরে বাবা। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হল দু’জনেরই। মঙ্গলবার হুগলি স্টেশনের কাছে কৃষ্ণপুর এলাকার ঘটনা। মৃতদের নাম গোবিন্দ নাগ (৩০) এবং গৌরব নাগ (৭)। স্থানীয় সূত্রে ‌খবর, গোবিন্দ এলাকায় এক জন ভাল রাঁধুনি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কৃষ্ণপুরের রবীন্দ্রনগর কালীতলায় একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ কাজ থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর বছর সাতেকের ছেলে গৌরবকে নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে সাঁতার শেখাতে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দ বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পাড়ে জুতো পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুকুরেই খোঁজ শুরু করেন স্থানীয়েরা। খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। রাত ১১টা নাগাদ গোবিন্দ ও তাঁর ছেলের দেহ ওই পুকুর থেকেই উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহ দু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এই ঘটনায় কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পরিতোষ মজুমদার বলেন, “বাবা ছেলেকে নিয়ে যখন পুকুরে নেমেছিলেন তখন কয়েক জন তাঁদের দেখেছেন। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের তরফ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুকুর পাড়ে জুতো দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এর পর পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হয়। দু’জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।” পরিতোষের দাবি, শিশুটির বাবা মত্ত অবস্থায় তাঁর ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিলেন। পুলিশ যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কী ভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE