ধূলাগড়ি শ্রীশ্রীসর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তারা। নিজস্ব চিত্র
ছ’মাস ধরে তিনি ব্যস্ত ছিলেন পুজোর প্রস্তুতিতে। সেই কাজ শেষ হয়েছে। আজ ষষ্ঠী। আজ থেকে তাঁর নতুন ‘লড়াই’ মণ্ডপে যথাযথ ভাবে কোভিড-বিধি রক্ষার।
তিনি— মহম্মদ সিদ্দিক। সাঁকরাইলের ‘ধূলাগড়ি শ্রীশ্রীসর্বজনীন দুর্গোৎসব’-এর সমন্বয় কমিটির সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আছেন আছেন মানিক রায়, অলোক দেয়াটি, প্রশান্ত পাত্র, শেখ রাজারা। সকলের মিলিত মিলিত উদ্যোগে ধূলাগড়ির এই পুজো সম্প্রীতির উৎসবে পরিণত হয়েছে। আজ পুজোর উদ্বোধনে আসার কথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের। তিনি বলেন, ‘‘আমি অবশ্যই যাব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ সামনে রেখে এই পুজো হয়। এটাই তো বাংলার ঐতিহ্য।’’
এই পুজো শুরু হয় ১৬ বছর আগে। যেখানে মণ্ডপ হয়, তার কিছুটা দূরেই তখন তৈরি হয় ধূলাগড়ি সব্জি বাজার ও ট্রাক টার্মিনাস। এখানকার কর্মীদের অনেকে বাইরে থেকে আসতেন। পুজোর সময়ে বাড়ি যেতে পারতেন না। টার্মিনাসের ম্যানেজার তথা ‘উৎসব সমন্বয় কমিটি’-র সহ-সভাপতি মানিক রায় জানান, যে সব কর্মী বাড়ি যেতে পারতেন না, তাঁদের মধ্যে হতাশা তৈরি হতো। ধূলাগড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ মোড় পুজোর সময়ে প্রায় নির্জন হয়ে থাকত। উৎসবের আবহের সঙ্গে তা বেমানান ছিল। তাই স্থানীয় যুবকদের জুটিয়ে তিনি পুজোর আয়োজন করেন।
প্রথম থেকেই এই পুজোয় জড়িত উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এ বারের পুজোতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকা শিল্পপ্রধান। অনেক কারখানা আছে। সব্জি বাজারের ব্যবসায়ীরাও চাঁদা দেন। খরচ উঠে যায়। চাঁদা নেওয়া হয় চেকে।’’
এতদিন ধরে চাঁদা তোলা, মণ্ডপের নকশা করা, প্রতিমার বরাত দেওয়া, পুজো উদ্বোধনে কারা আসবেন, তাঁদের তালিকা ধরে আমন্ত্রণ করা, পুজোর অনুমতি নেওয়া— সবই করতে হয়েছে সিদ্দিককে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কাউকে মণ্ডপে ঢুকতে দেব না। বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে হবে। পর্যাপ্ত মাস্ক এবং হাতশুদ্ধি রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy