এই বাড়িতেই ৩৭৯ বছর ধরে সেই পুজো হয়ে আসছে। নিজস্ব চিত্র।
এক সৎ পুরোহিতের সঙ্গে মহারাজা নন্দকুমারের নাতনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি শুরু করেন দুর্গাপুজো। সালটা আনুমানিক ১০৫০ বঙ্গাব্দ। ৩৭৯ বছর ধরে সেই পুজো হয়ে আসছে মধ্য হাওড়ার ২৪ নম্বর কালী ব্যানার্জি লেনে।
কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা ছিলেন গিরিশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি হাওড়ায় চলে এসেছিলেন। সৎ পুরোহিত হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় মহারাজা নন্দকুমারের নাতনির। নন্দকুমার তাঁর মেয়েকে হাওড়ায় যে সম্পত্তি দিয়েছিলেন, সেখানেই স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন গিরিশ।
সেই সময় বাড়িতে গোপাল পুজো শুরু করেন গিরিশ। ওই বছরই শুরু করেন দুর্গাপুজো। বৈষ্ণব মতে পুজো হয় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে। সাত মহলা এই বাড়ির একাংশ ভেঙে চুরে গিয়েছে। পলেস্তারা খসে পড়েছে। দেওয়ালে গজিয়েছে গাছ। অন্য অংশ রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছেন সদস্যরা। সুবিশাল সেই বাড়ির লাগোয়া ঠাকুরদালান। জন্মাষ্টমীর পরের দিন এই বাড়িতে হয় নন্দ উৎসব। সে দিনই কাঠামো পুজো হয়।
বাড়ির বর্তমান সদস্য রণজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এক সময় মধ্য হাওড়ার ওই অংশে জঙ্গল ছিল। তাঁদের পূর্ব পুরুষরা বসতি স্থাপন করেন। কালী সেখানে বাজার তৈরি করেন, যা কালীবাবুর বাজার নামে পরিচিত। বাজার থেকে আয়ের অংশ পুজোর জন্য খরচ হয়। পরিবারের আর এক সদস্য মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহালয়ার পরের দিন থেকে নিরামিষ খাওয়া শুরু হয়। চলে দশমী পর্যন্ত। নবমীতে কুমারী পুজো ও কুমড়ো বলি হয়। মাকে প্রদক্ষিণ করে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। দশমীতে পান্তা ভাত ও কচুশাক খেয়ে মা কৈলাস যাত্রা করেন। কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমা নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় নিরঞ্জন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy