E-Paper

পুজোর বাসি অন্নভোগে দশমী সারে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার

তেলিনিপাড়া কেএল ব্যানার্জি রোড দক্ষিণপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো এ বার ৮১ বছরে পড়ল। ১৯৪৩ সালে পুজো শুরু করে বাড়ির প্রধান কুড়োরাম বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেদারনাথ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩২
Durga Puja

প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত বাড়ির সদস্যেরা। —নিজস্ব চিত্র।

প্রতিমা তৈরি থেকে ঢাক বাজানো সবটাই করেন বাড়ির সদস্যেরা‌। নবমীর ভোগে ইলিশ ও চিংড়ির সঙ্গে থাকে কচুশাকের চচ্চড়ি। তেলিনিপাড়া বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোয় দশমীতে পড়ে বাসিভোগের পাত।

তেলিনিপাড়া কেএল ব্যানার্জি রোড দক্ষিণপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো এ বার ৮১ বছরে পড়ল। ১৯৪৩ সালে পুজো শুরু করে বাড়ির প্রধান কুড়োরাম বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭০ পর্যন্ত পুুুুজো প্রতিপদ থেকে দশ দিন ধরেই হত। বর্তমানে পাঁচ দিন হয়। এই পরিবারের পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, নবমীর অন্নভোগ রান্না করে রাখা হয়। সেই বাসিভোগ দশমীর পুজোয় নিবেদনের পর দধিকর্মার সঙ্গে পরিবেশিত হয়।

পরিবারের বড় কর্তা জানান, আগের চেয়ে পুজোর জৌলুস অনেকটাই বেড়েছে। পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রেখে দুর্গাদালান সংস্কার করা হয়েছে। এক চালার প্রতিমা পূজিত হন বৈষ্ণব মতে। আগে অষ্টমী ও নবমীতে পাঁঠা বলি হত। এখন তার বদলে শসা, চালকুমড়ো ও আখ বলি হয়। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো ও ধুনো পোড়ানো হয়। নবমীতে ভোগে থাকে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ। সঙ্গে কচুশাকের চচ্চড়ি। দশমীর দিন সিঁদুর খেলা ও বেড়া অঞ্জলির দিয়ে পুজো শেষ।

এই বাড়ির ছোট ছেলে পেশায় গাড়ি চালক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশ বছর ধরে নিজে হাতে প্রতিমা তৈরি করছেন। পুজোর ক’টা দিন ঢাকও বাজান। দেবাশিসের কথায়, ‘‘২০০০ সালে প্রতিমার শিল্পী না আসায় কাজ করেছিলাম আমি। শ্রীরামপুর চাতরা কুমোরপাড়ার এক মৃৎশিল্পী আমাকে প্রতিমা তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন। সেই শুরু। নিজের হাতে তৈরি করা প্রতিমার পুজো করতে পারাটা বড় আনন্দের।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durga Puja 2023

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy