ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার নিষিদ্ধ উলুবেড়িয়া পুর এলাকায়। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই বেশ কিছু এলাকায় এখনও সাব-মার্সিবল পাম্প বসিয়ে ভূগর্ভস্থ জল তোলা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে পরিবেশকর্মীদের। বিশেষ করে বহুতলগুলির একাংশে ওই ভাবে জল তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) আকবর শেখ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘কোথাও ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে না। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিটি বহুতলে জলের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জল তোলার খবর পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থানেওয়া হয়।’’
উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরে পুরসভার নিজস্ব জল প্রকল্প আছে। সেখানে হুগলি নদীর জল তুলে শোধন করে পুর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, মোট ৭৪ হাজার পরিবার আছে। ৯০ শতাংশের বেশি পরিবারে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলিকেও শীঘ্র দেওয়া হবে। ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার নিষিদ্ধ বলে পুর এলাকায় নলকূপ বসানোর অনুমতিও দেওয়া হয় না বলেও আকবর জানান।
কিন্তু ফুলেশ্বরের কিছু জায়গায় বহুতলগুলির একাংশে পাম্প বসিয়ে জল তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিবেশকর্মী শুভ্রদীপ ঘোষবলেন পুর আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উলুবেড়িয়ার কিছু আবাসনে যে ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তোলাহছে তা রোখার সময় এসেছে। এখন আর এইসব বরদাস্ত করা উচিত নয়। যারা এই সব করছে, তাদের শাস্তি দরকার।’’
সম্প্রতি এই রকম একটি পাম্প বসানোর সময় পুরসভার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে হাতেনাতে ধরা হয় বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভা তা বন্ধও করে দেয়। কিন্তু ফের সেখানে অন্য কয়েকটি বহুতলে পাম্প বসিয়ে জল তোলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
ফুলেশ্বরের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, এখানে পুরসভার জল আসে না। তাই পাম্প বসাতে হয়। উলুবেড়িয়ায় বহু নার্সিংহোমও পাম্প চালিয়ে জল তোলে বলে অভিযোগ। যদিও নার্সিংহোম মালিকেরা অভিযোগঅস্বীকার করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)