নিজস্ব চিত্র
নিজের বন্দুক থেকে গুলি ছুড়ে আত্মহত্যা প্রাক্তন সেনাকর্মীর। মৃতের নাম স্বপনকুমার বিশ্বাস (৫৭)। বাড়ি পাণ্ডুয়ার চৌহাট্টায়। একসময় তিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে চাকরি করতেন। ১২ বছর আগে অবসর নেন। এর পর কিছুদিন কলকাতার একটি ব্যাঙ্কে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেছেন। গত দু’বছর ধরে বাড়িতেই ছিলেন। কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। স্বপনবাবুর দুই মেয়ে। বড় মেয়ের সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাতে ভাল করে ঘুমোতেন না স্বপন। শুক্রবার রাতে তিনি হঠাৎ শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করলে স্ত্রী অঞ্জনা চিকিৎসার জন্য পাণ্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ডাক্তার দেখিয়ে আসার পর খাওয়া দাওয়া করে দোতলার ঘরে উঠে যান স্বপন। গভীর রাতে নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। গুলির আওয়াজ পেয়েই স্ত্রী ওপরের ঘরে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন স্বামী। পরে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্বপনের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ‘‘দু’বছর কোনও কাজ না থাকায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরেছিলেন আমার স্বামী। রাতে ঘুমোতেন না। মাঝে মধ্যে ঘুমের ওষুধ খেতে হত। ছোটো মেয়ের এখনও বিয়ে হয়নি। এই নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তা করতেন। তেমন কথাও বলতেন না। পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া-ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই এই আত্মহত্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy