E-Paper

ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, উদ্বেগ বাড়ছে চাষিদের

সব মিলিয়ে এই নিম্নচাপে চাষের দফারফা হবে বলে আশঙ্কা করছেন আরামবাগের রামনগরের চাষি বিদ্যাপতি বাড়ুই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৩৭
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে  ধান চাষের ক্ষতিগ্রস্ত আশঙ্কা চাষী মহলের।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ে ধান চাষের ক্ষতিগ্রস্ত আশঙ্কা চাষী মহলের। নিজস্ব চিত্র।

বন্যায় একদফা বিধ্বস্ত হয়েছে আমন ধানের চাষ। মাস খানেক কাটতে না কাটতেই এ সপ্তাহে ফের নিম্নচাপের সতর্কবার্তা। বন্যার পরেও যেটুকু ফসল রক্ষা পেয়েছিল তা-ও থাকবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে হুগলির, বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমার চাষিদের।

চাষিদের বক্তব্য, ধান ফলতে শুরু করেছে। এই সময় ঝড় হলে ধানের থোড় ফাটিয়ে দেবে। ফলে, ভাল ফসল মিলবে না। আবার ভারী বৃষ্টি হলেও মাটি কাদা হয়ে শুকোতে দেরি হবে। তার জেরে পরবর্তী আলু চাষও পিছিয়ে গিয়ে ভাল ফলন মিলবে না। রোগ-পোকার আক্রমণ বাড়বে।

সব মিলিয়ে এই নিম্নচাপে চাষের দফারফা হবে বলে আশঙ্কা করছেন আরামবাগের রামনগরের চাষি বিদ্যাপতি বাড়ুই। তিনি বলেন, “এই নিম্নচাপ এক সপ্তাহ পরে হলে এতটা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকত না। ততদিনে ধান ফলে গিয়ে বড় জোড় গাছ মাটিতে হেলে পড়ত।” একই সুরে পুরশুড়ার কেলেপড়ার চাষি বাপ্পাদিত্য ধোলে বলেন, “একদফা বন্যায় ডুবে থেকে আমার ১৬ বিঘা জমির প্রায় ৪ বিঘার বেশি ধান একেবারে পচে গিয়েছে। বাকি জমির জল নেমে যাওয়ায় সে ধানে বিশেষ যত্ন নেওয়ায় ভালই ফলছে। ঝড়বৃষ্টিতে এই ধান পাওয়ার আশাও থাকবে না।” বন্যার পর বেঁচে থাকা ধান এ বার নিম্নচাপে রক্ষা পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গোঘাটে বালির প্রভাত মণ্ডল, কুমুড়শার আনসার আলি, খানাকুলের ঘোষপুরের আশোক রায়ের মতো চাষিরাও।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগের বন্যায় জেলার ১৮টি ব্লকের মধ্যে আরামবাগ মহকুমার ৬টি এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে তারকেশ্বর, ধনেখালি, জাঙ্গিপাড়া এবং বলাগড়ে আমন ধানে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতির হিসাব এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি কৃষি দফতর। তবে, প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে— আমন ধান, বাদাম, কলাই-সহ বিভিন্ন আনাজের মোট ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমির মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৫৬ হাজার ২০০ হেক্টরে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অমিতেন্দু পাল বলেন, “আগামী ২৪ অক্টোবরে জেলায় নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। সেই মতো জেলার সব ব্লক প্রশাসন এবং দফতরগুলিকেজানানো হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arambagh Goghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy