আবার সেই হাওড়ার মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ড। রবিবার সকালে ‘মর্ডান হাট’ বিল্ডিংয়ের চার তলায় একটি দোকানে আগুন লাগে। ওই দোকান থেকে গল গল করে ধোঁয়া বার হতে দেখা যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকল। তবে আগুনের তীব্রতা বেশিই ছিল। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মর্ডান হাটের দোকানে আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই বিল্ডিংয়ে তো বটেই আশপাশেও অনেক দোকান এবং গোডাউন রয়েছে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তা বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন অনেকেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশ। সিইএসসি-র লোকও যান। বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল্ডিংয়ের চার তলায় একটি দোকানঘরে প্রথমে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে দোকানের মধ্যেই। যদিও দমকলকর্মীদের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলাঘাটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান অরূপ। তাঁর দাবি, অনেকেই নিয়ম মানেন না। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় মঙ্গলাহাট। পুড়ে যায় প্রায় তিন হাজার দোকান। পুজোর কয়েক মাস আগের এই ঘটনায় পথে বসতে হয় কয়েক হাজার ওস্তাগর এবং ব্যবসায়ীকে। অগ্নিকাণ্ডের পর দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তাঁর নির্দেশে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তদন্তে উঠে আসে অন্তর্ঘাত তত্ত্বও। রাজ্য গোয়েন্দারা এক জনকে সেই ঘটনায় গ্রেফতারও করেছিল। সেই মঙ্গলাহাটে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উস্কে দিল প্রায় বছর দুই আগেই সেই বিভীষিকা।