Advertisement
১১ মে ২০২৪
Subhas Chandra Bose

দেশের জন্য লড়াই করা প্রয়াত স্বামীর প্রাপ্য সম্মান চান শ্রীরামপুরের বৃদ্ধা

রায় পরিবারের হাতে যে সব নথি আছে তাতে জানা গিয়েছে, বর্মা (অধুনা মায়ানমার)-র কারাগারে বন্দি ছিলেন ক্ষীতীশ।

স্বামী ক্ষীতীশ রায়ের স্মৃতি আগলে ঝর্ণা।

স্বামী ক্ষীতীশ রায়ের স্মৃতি আগলে ঝর্ণা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৪
Share: Save:

দাবি জানাতে জানাতে কেটে গিয়েছে কয়েক দশক। ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছেন হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের বৃদ্ধা ঝর্না রায়। যৌবনে তাঁর স্বামী ক্ষিতীশচন্দ্র রায় যোগ দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজে। শনিবার নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে, প্রয়াত স্বামীর জন্য ফের এক বার ‘ছোট্ট’ চাহিদার কথাই তুলে ধরলেন বছর পঁচাশির ঝর্না, ‘‘দেশের জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি আর সম্মানটুকু দিক সরকার।’’

শ্রীরামপুরের মাহেশ কলোনিতে বাড়ি ঝর্নার। ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতি হাতড়ে টেনে আনলেন ইতিহাস। জানালেন, ১৯২০ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্ম ক্ষিতীশের। তাঁর বাবা স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ছাত্র বয়সেই স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ক্ষিতীশ। মেজ মামা ধীরেন রায়ের কাছে স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত হন তিনি। সে সময় ক্ষিতীশ যোগ দেন মহাত্মা গাঁধীর আন্দোলনে। কিন্তু অহিংস আন্দোলনে ইতি টেনে, এক সময় তিনি নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে জানাচ্ছেন ঝর্না। রায় পরিবারের হাতে যে সব নথি আছে তা থেকে জানা গিয়েছে, বর্মা (অধুনা মায়ানমার)-র কারাগারে বন্দিও ছিলেন ক্ষিতীশ। দেশভাগের পর তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। ২০০৫ সালে প্রয়াত হন ক্ষিতীশ।

ক্ষিতীশ-ঝর্নার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। বড় ছেলে রাজা শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী। ছোট ছেলে অপূর্ব ভাড়ার অটো চালান। ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষিতীশকে স্বীকৃতি দেয় রাজ্য সরকার। রায় পরিবারের সকলেরই আক্ষেপ, রাজ্য স্বীকৃতি দিলেও, বার বার আবেদনেও কান দেয়নি কেন্দ্র। রাজার দাবি, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়া হলেও তার কোনও জবাব আসেনি। অপূর্বের বক্তব্য, ‘‘নেতাজির জন্মদিন এলেই বাবার কথা মনে পড়ে। আমাদের দাবি, দেশের জন্য বাবার লড়াইয়ের স্বীকৃতি আর সম্মানটুকু দিক সরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Freedom Fighter Subhas Chandra Bose
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE