ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। পাওনাদারদের চাপ বাড়ছিল। পাওনাদারেরা বাড়ি গিয়েও অপমান করেন বলে অভিযোগ। তার পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক প্রৌঢ়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জগৎবল্লভপুরে মধ্য সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা কার্তিক পাত্র (৫৫) বেশ কয়েক বছর আগে একটি ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। তার কিছু দিনের মধ্যে তাঁর স্ত্রী মারা যান। সেটাও প্রায় ৫ বছর আগে। কিন্তু পারিবারিক এবং আর্থিক কারণে কোনও ভাবেই ঋণের টাকা শোধ করতে পারছিলেন না তিনি। অন্য দিকে, টাকা ফেরানোর জন্য চাপ আসছিল। যে ‘লোন গ্রূপ’-এর সদস্যেরা তাঁকে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, তাঁরা কার্তিককে তাড়াতাড়ি টাকা ফেরত দিতে বলেন।
অভিযোগ, সম্প্রতি কার্তিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে টাকা ফেরাতে বলেন কয়েক জন। গালাগালি করা হয়। একটি ইঞ্জিন ভ্যানরিকশা ছিল কার্তিকের। সেটিতে তালা দিয়ে আটকে রেখে চলে যান পাওনাদারেরা। প্রৌঢ়ের মেয়ে মধুমিতা রায়ের দাবি, ‘‘বাড়িতে এসে লোন গ্রুপের লোকজন অপমান করে যায়। ভীষণ মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাবার। তার পরে বাবা আত্মঘাতী হল।’’
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তার। শুরু হয়েছে তদন্ত।