নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে এক ছাত্রীর জখম হওয়ার ঘটনায় থানায় এফআইআর করল হাওড়া পুরসভা। বুধবার পুর কমিশনার বন্দনা পোখরিয়াল জানিয়েছেন, বেআইনি বহুতলের তালিকায় শরৎ চ্যাটার্জি রোডের ওই নির্মীয়মাণ বহুতলটিও রয়েছে। এর আগে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়িটির বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও লুকিয়ে-চুরিয়ে নির্মাণ চলছিল। ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়ে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিন বলা হয়েছে। যদিও এ দিনও চ্যাটার্জিহাট থানার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার সকালে চ্যাটার্জিহাট বাজারের কাছে একটি সঙ্কীর্ণ গলির মধ্যে পাঁচতলা ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের চারতলার একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে। তখন সেটির নীচ দিয়ে সাইকেল নিয়ে ফিরছিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। ভাঙা কংক্রিটের অংশ তার সাইকেলের উপরে পড়ায় সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ওই ছাত্রীও জখম হয়। পুলিশ এসে রাস্তা থেকে ধংসস্তূপ সরিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে দায় সারে বলে স্থানীয়েরা অভিযোগ তোলেন।
বুধবার পুর কমিশনারের নির্দেশে বিল্ডিং দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের তদন্ত করতে পাঠানো হয়। এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘যে রাস্তার পাশে বাড়িটি তৈরি হচ্ছে, সেখানে কোনও ভাবেই দোতলার বেশি উঁচু বাড়ি করার অনুমোদন পুরসভা দেবে না। অনেক আগেই তাই বাড়িটি বেআইনি বলে চিহ্নিত করে ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন সেটি ভাঙা হয়নি এবং প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই বহুতলের একাংশ কেন ভেঙে পড়ল এবং নির্মাণকাজে কী ধরণের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা দেখা হবে। বাড়িটির কাজ পুরোপুরি যাতে বন্ধ থাকে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশকে বলা হবে। এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘বেআইনি বাড়ির ক্ষেত্রে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নিলে এই প্রবণতা কমবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশি সক্রিয়তার অভাব থাকছে।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ থানায় ডায়েরি করেছে। পুরসভার তরফে এফআইআর করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)