‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে তারকেশ্বর স্টেশনকে তারকেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এ জন্য রেলের তরফে স্টেশন সংলগ্ন তাদের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী এবং দোকানিদের সরে যাওয়ার জন্য ক’দিন আগে নোটিস দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসনের দাবিতে ওই সব বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আজ, সোমবার আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।
পূর্ব রেলের রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘রেলের প্ল্যাটফর্ম শুধুমাত্র যাত্রী পরিষেবার জন্য। হকারি বা অন্য কোনও কারণে ব্যবহারের জন্য নয়। চন্দননগর স্টেশনের ক্ষেত্রে আমাদের এই বক্তব্যে এখনও আমরা অনড়। তবে, তারকেশ্বরে রেলের জমিতে কেউ যদি বসে থাকেন সেটা নির্দিষ্ট ভাবে আমাদের দেখতে হবে। তারকেশ্বর স্টেশনের পরিস্থিতি ঠিক কী, জমি কাদের— সেটা দেখে জানাব।’’
সব মিলিয়ে কয়েকশো পরিবারের বাস তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমিতে। চলে বেশ কিছু দোকানও। উৎসবের মরসুমে রেলের ওই নোটিসে ওই সব লোকজনের মাথায় হাত পড়েছে। এলাকাটি পড়ছে পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। শনিবার দুপুরে সেখানকার কাউন্সিলর অমরেন্দ্র সামুইয়ের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান রেলের জমিতে বসবসকারীদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে টুকু পরামানিক বলেন, ‘‘৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। এখন বলা হচ্ছে, উঠে যেতে হবে। উৎসবের সময় পরিবার নিয়ে যাব কোথায়? আমাদের পুর্নবাসন দিতে হবে।’’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দোকান-মালিক ও রেলের জমিতে বসবাসকারীদের পাশে দাঁড়াতে আজ, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারকেশ্বরের পুরপ্রধান উত্তম কুন্ডু বলেন, ‘‘ওখানে ২৫০-৩০০টি দোকান রয়েছে। দোকান বা ঘর ভেঙে দিলে পরিবারগুলো যাবে কোথায়? ’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)