কারখানার ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ জল নিকাশি নালা দিয়ে বেরিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে এলাকা। দাবদাহের সময়েও পাঁচলার কুলাই গ্রামে যেন অকাল-বন্যা! প্রায় দু’হাজার গ্রামবাসী জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন। রাস্তা ডুবে গিয়েছে। বাড়িতে জল ঢুকে ভোগান্তির অন্ত নেই।
কারখানার বেহাল নিকাশি-সমস্যার প্রতিকারের দাবিতে পাঁচলার বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাসিন্দারা। ব্লক প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, এ বিষয়ে তাঁরা অবগত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য তাঁরা কারখানাগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুজাতিক সংস্থার কারখানা। তাদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কারখানার পাঁচিল দেওয়ার সময়ে বাইরে কোনও নিকাশি নালা করা হয়নি। ফলে কারখানার ব্যবহার করা জল সরাসরি গ্রামে ঢুকে পড়ে বিপত্তি ঘটাচ্ছে। গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির ভিতরে জল জমে গিয়েছে। এই কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা ডুবে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই জল কাটিয়ে কেন্দ্রে আসছেন কর্মী, সহায়িকা এবং পড়ুয়ারা।
এই এলাকার বেশিরভাগ অংশই পড়ে বেলডুবি পঞ্চায়েতের ২৫১ নম্বর বুথে। এই বুথ থেকে নির্বাচিত তৃণমূল সদস্য মানস করাতি বলেন, ‘‘কারখানাগুলি নিকাশি ব্যবস্থা না করার ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ গ্রামবাসীদের। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।’’
একই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকও। দলের নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, ‘‘কারখানাগুলি কারও তোয়াক্কাই করছে না। তাদের ফেলা জলে শুধু যে রাস্তা, বাড়ি ডুবছে না। সঙ্গে চাষের জমিও ডুবছে। সমস্যা না মিটলে সাধারণ মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামব।’’
তবে এ বিষয়ে একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর মেলেনি। তবে একটি কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের কারখানা থেকে কোনও জল বাইরে যায় না। তাঁদের নিজস্ব নিকাশি ব্যবস্থা আছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)