E-Paper

পুকুর বুজিয়ে নির্মাণে মামলা, সেই জমিতেই বিদ্যুৎ সংযোগে প্রশ্ন

জানা গিয়েছে, অঞ্জন সাধুখাঁ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুর ভরাট নিয়ে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ০৮:১৫
দোকানঘরের সামনে বসানো হয়েছে ট্রান্সফর্মার। নিজস্ব চিত্র

দোকানঘরের সামনে বসানো হয়েছে ট্রান্সফর্মার। নিজস্ব চিত্র

বেআইনি ভাবে পুকুর বুজিয়ে দোকানঘর তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এরই মধ্যে সেখানে সরকারি ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এলাকাবাসী।

হুগলির চণ্ডীতলার মশাট বাজার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, ২০১৭ সালে পুকুরটি বোজানো হয়েছিল। সম্প্রতি সেখানে দোতলা নির্মাণ করে বেশ কিছু দোকানঘর তৈরি করা হয়েছে। ওই জলাশয় বোজানো নিয়ে শ্রীরামপুর আদালতে মামলা চলছে। ফলে ওই জমিতে গড়ে ওঠা নির্মাণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায় কি না, উঠেছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

নির্মাণের কাজে যুক্ত মোসিবুর মল্লিক বেনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অনৈতিক কিছু হয়নি। ট্রান্সফরমার বসেছে পূর্ত দফতরের রাস্তার সরকারি জমিতে।

জানা গিয়েছে, অঞ্জন সাধুখাঁ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুর ভরাট নিয়ে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। কাজ না হওয়ায় শ্রীরামপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। অঞ্জনের অভিযোগ, ওই নির্মাণের ক্ষেত্রে বেআইনি ভাবে জলাশয় বোজানোই শুধু নয়, আরও অনিয়ম হয়েছে। তাঁর মা এবং সম্পর্কিত মোট ৯ জন পুকুরের অংশীদার ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককে প্রোমোটার বঞ্চিত করেছেন। অঞ্জনের বক্তব্য, ‘‘এক সময়ে আদালত ওই কাজের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আমাদের এখন প্রশ্ন, বেআইনি ভাব‌ে পুকুর বোজানো হল। অংশীদারদের বঞ্চিত করা হল। সেই জমিতেই সরকারি ভাবে কী করে ট্রান্সফর্মার বসছে? বিষয়টি আদালতে জানাব। দিন কয়েক পরেই শুনানি আছে। প্রয়োজনে উচ্চ

আদালতে যাব।’’

মসিবুরের বক্তব্য, ‘‘ওই পুকুর যেমন বুজিয়েছি, অন্য জায়গায় একটি পুকুর খুঁড়ে দিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, অঞ্জনকে চেনেন না। অঞ্জন তাঁর বিরুদ্ধে অযথাই অভিযোগ তুলে আদালতে গিয়েছেন। জমির পরচায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের প্রত্যেককে নায্য পাওনা মিটিয়েছেন। কাউকে বঞ্চিত করেননি বলে দাবি মসিবুরের। তাঁর কথায়, ‘‘উনি যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, সেটি ওঁর আত্মীয়দের সঙ্গে সমস্যা। এরপরেও যদি উনি ওঁর আত্মীয়দের সঙ্গে বসতে চান, আমি নিজে উদ্যোগী হব। আইন মেনে ট্রান্সফর্মার বসলেও তা নিয়ে অঞ্জনবাবু থানায় গিয়েছিলেন। আমাকে বার বার পুলিশ থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি হেনস্থার শিকার হচ্ছি।’’

এ বিষয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার জেলার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের অনুমতি নিয়েই ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। যে ক্ষেত্রে জমির সমস্যা থাকে, সেখানে দফতরের তরফে ওই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি কিনে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। বিধিভঙ্গের প্রশ্ন নেই।’’

এই বিষয়ে হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘মশাট বাজারে নির্মাণ ও ট্রান্সফর্মারের বিষয়টি নিয়ে একটা অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তকে পুলিশ থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

illegal shop Illegal Construction

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy