Advertisement
E-Paper

যানজট মোকাবিলায় আন্ডারপাসের আর্জি

হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র‍াফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একই সমস্যা রানিহাটিতেও।

অঙ্কুরহাটি মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার অপেক্ষা। নিজস্ব চিত্র

অঙ্কুরহাটি মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার অপেক্ষা। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP

অরিন্দম বসু

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৫
Share
Save

দিনভর যানজট লেগেই থাকে হাওড়ার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের (মুম্বই রোড) ব্যস্ত অঙ্কুরহাটি মোড়ে। জায়গাটি তিন রাস্তার সংযোগস্থল। ‘সিগন্যালিং’ ব্যবস্থা থাকলেও বিশেষ সুবিধা হয় না বলে যাত্রীদের ক্ষোভ। এক দিকের সিগন্যাল লাল হলে গাড়ির লম্বা লাইনের জেরে যানজট বাড়তে থাকে। সওয়ারিরা যেমন বিপাকে পড়েন, তেমনই রাস্তা পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় পথচারীদেরও। সমস্যা মেটাতে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং সিটি পুলিশের ট্র‍াফিক বিভাগ।

হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র‍াফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একই সমস্যা রানিহাটিতেও। সমস্যা মেটাতে এই দুই জায়গায় দু’টি আন্ডারপাস তৈরির কথা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অন্য দুই রাস্তার গাড়ি আন্ডারপাস দিয়ে চলে যাবে, জাতীয় সড়কের গাড়ি বাধাপ্রাপ্ত হবে না। তিন সড়কের গাড়িই মসৃণ ভাবে যাতায়াত করতে পারবে। পথচারীদের সমস্যারও সমাধান হবে।’’

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প রূপায়ণে জমি প্রয়োজন। জমি পাওয়া গেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।

অঙ্কুরহাটিতে জাতীয় সড়ক থেকে একটি রাস্তা মাকড়দহে গিয়ে হাওড়া-আমতা রোডে মিশছে। অন্যটি মহিয়াড়ি ও আন্দুল যাওয়ার রাস্তা। অঙ্কুরহাটিতে প্রতি শুক্রবার পোশাকের হাট বসে। দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পোশাক কিনতে আসেন। অভিযোগ, জাতীয় সড়কের কলকাতাগামী লেন কার্যত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায়। যান চলাচলে শৃঙ্খলা শিকেয় ওঠে। এই লেনে সরস্বতী সেতু পেরিয়ে জালান কমপ্লেক্সের কাছে পৌঁছে যায় গাড়ির লাইন। তার উপরে নিয়ম না মেনে জাতীয় সড়কের লেন ভেঙে দিব্যি পোশাকবোঝাই গাড়ি চলে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কের গতি রুদ্ধ হয়। মাকড়দহ থেকে বহু গাড়ি এই পথ ধরে কলকাতায় যায়। বহুজাতিক সংস্থা, আইটি পার্ক বা বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিক কর্মস্থলে আসেন। সব মিলিয়ে গাড়ির জট পাকিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আক্রম, রিয়াজ আলিদের কথায়, ‘‘প্রায়ই রাস্তা পার হতে ১০-১৫ মিনিট সিগন্যালেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দুর্বিষহ অবস্থা। বিকল্প ব্যবস্থা জরুরি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

sankrail underpass

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}