E-Paper

এখনও জলমগ্ন নন্দীমাঠ, দুর্ভোগ

সমস্যার কথা মানছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে এই বিপত্তি। পাম্প চালিয়ে জমা জল বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৮
জলমগ্ন নন্দীমাঠ।

জলমগ্ন নন্দীমাঠ। —ফাইল চিত্র।

আকাশ কালো হলেই ডরান এ পাড়ার মানুষ। বৃষ্টি নামলে রক্ষে নেই! আশপাশে বৃষ্টির পরে জমা জল দ্রুত নেমে যায়, এখানে যায় না। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার। শনিবার থেকে বৃষ্টি নেই। রবিবার সারা শ্রীরামপুর যখন খটখট করছে তখন শহরের নন্দীমাঠ এলাকা সেই জলমগ্নই। সেই জল পেরিয়েই চলছে স্থানীয়দের যাতায়াত। তাঁদের ক্ষোভ, সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বহু আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে পুরসভায়। সমস্যা মেটেনি।

সমস্যার কথা মানছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে এই বিপত্তি। পাম্প চালিয়ে জমা জল বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, স্থায়ী ভাবে জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে। সে জন্য বছর দুয়েক সময় লাগবে। নন্দীমাঠ এলাকা, তার পাশের জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ী রোড এবং জননগর রোডের একাংশে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে। বিপাকে পড়েন এলাকাবাসী। জননগর রোড এবং জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ী রোড দিয়ে গাড়ি চলাচলেও অসুবিধা হয়। তবে, সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন নন্দীমাঠের মানুষ। শুধু রাস্তায় নয়, একাধিক বাড়িতেও জল ঢুকে যায়।

রবিবার সন্ধ্যায় শহরের বেল্টিং বাজার এলাকায় একটি গানের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সোনালি রায় নামে নন্দীমাঠের এক মহিলা। জানালেন, হাঁটু জল পেরিয়ে গলি থেকে বেরিয়ে রাস্তার কলে পা ধুয়ে টোটোতে চাপতে হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই।

বর্ষার মরসুমে এমনই জল-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় এখানকার মানুষকে। ক্ষোভের সুরে অনেকেই বলেন, এখানে স্থায়ী ভাবে নৌকোর বন্দোবস্ত করা উচিত প্রশাসনের। এক যুবকের কথায়, ‘‘যে শহরে হাত বাড়ালেই শোরুম, শপিং মল, নামীদামি খাবারের দোকানের ছড়াছড়ি, সেখানে বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকা যেন এক অন্য শ্রীরামপুর!’’ গৌতম মিত্র নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বৃষ্টি হলে তো বটেই, তার পরেও কয়েক দিন বাইরে বেরোনোর উপায় থাকে না। দুর্বিষহ অবস্থা।’’ এলাকাবাসীর অভিযোগ, জমা জলের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি বা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিকাশির সমস্যায় জলের সঙ্গে বর্জ্যও ভাসে। দুর্গন্ধ হয়। সেই জলে চর্মরোগ হয়। খাটালের বর্জ্য, প্লাস্টিকের নানা জিনিসের কারণেও নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পুরপ্রধান গিরিধারী সাহার আশ্বাস, ‘‘এক-দু’দিনের মধ্যে জল যাতে পুরোপুরি নেমে যায়, দেখব। প্রযুক্তিগত নানা সমস্যার কারণে, পাম্প বিকল হয়ে অসুবিধা হয়েছে। এ নিয়ে কেএমডিএর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ওই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থায় আগে থেকে গোলমাল হয়ে রয়েছে। তার জেরেই সমস্যা। বর্ষায় কিছু রাস্তা এবং পাম্পের কাজ করা যায়নি। সেটা হলেই কয়েক দিনের মধ্যে অস্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Serampore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy