রাজা রামমোহন রায়ের জন্মদিন পালন। সোমবার খানাকুলের রাধানগরের জন্মভিটেতে। নিজস্ব চিত্র।
জন্মভিটে রাধানগর এবং এক কিলোমিটার তফাতে বসতবাটী রঘুনাথপুরে সোমবার রাজা রামমোহন রায়ের ২৫২ তম জন্মদিবস পালিত হল। রামমোহনের জন্মভূমিকেন্দ্রিক স্মৃতিরক্ষার দাবিতে আরামবাগ মহকুমার বুদ্ধিজীবী এবং রামমোহনপ্রেমীদের নিয়ে গঠিত ‘রাধানগর রামমোহন মেমোরিয়াল অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন’-এর পক্ষে দু’টি জায়গায় তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা হয়। ওই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি পরেশচন্দ্র দাস, সম্পাদক দেবাশিস শেঠ, রাধানগর রামমোহন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ দীপক ভার্গভ প্রমুখ।
এ বার অবশ্য রাধানগরে রামমোহন মেমোরিয়াল হলের ভিতরে কোনও বিশেষ আলোচনাসভা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি। কাউকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। কেন? কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ জানুয়ারি রামমোহন মেলার উদ্বোধনে মেলা পরিচালন কমিটিতে পদের দাবিতে শাসক দলের স্থানীয় নেতারা মারপিটে জড়িয়ে ছিলেন। সেই কমিটি থেকে বুদ্ধিজীবীদের নাম বাতিলেরও দাবি ওঠে। এ ক্ষেত্রেও কোনও অনুষ্ঠান করলে কাকে ডাকতে হবে, কাকে ডাকা চলবে না, তা নিয়ে নানা সুপারিশ বা প্রচ্ছন্ন নির্দেশ আসে। এই অবস্থায় বিতর্ক এড়াতে এবং সর্বোপরি নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই অনুষ্ঠান করা হয়নি।
হুগলি জেলা পরিষদের সভাপতি, তৃণমূল নেতা মেহবুব রহমানের বক্তব্য, ‘‘মেলার উদ্বোধনে একটা সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। ওই দিনই মিটে যায়। সোমবার কেন
মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠান হল না, ওঁরাই বলতে পারবেন। তবে আমাকে বলা হয়েছিল। শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি।’’
বড় কোনও অনুষ্ঠান না হলেও বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে রামমোহনের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy