স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল হুগলির বলাগড়ের এক বৃদ্ধের। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শুভ্রা ভৌমিক ভট্টাচার্য এই খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে খবর, ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারির। সে দিন ৬১ বছরের বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে স্ত্রী চন্দনা দাসের ঝগড়া হয়েছিল। সেই সময় ৫৫ বছরের স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল চন্দনাকে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে স্বামীকে দায়ী করে যান প্রৌঢ়া।
প্রায় ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। মঙ্গলবার সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত আগরওয়ালকে পাশে নিয়ে আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিয়ের দশ বছর পর থেকে স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন করতেন স্বামী। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার রাতে নিজের বাড়িতে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন বৃদ্ধ।’’ তিনি আরও জানান, মৃতার বড় মেয়ে সরসী দাস বাবার বিরুদ্ধে বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলাটির তদন্তে মোট ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
আসামি বিশ্বজিৎকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ (এ) ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। তা ছাড়া, ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।