Advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Ayan Sil

‘আধুনিক পোশাক পরতেন, কথা বলতে অস্বস্তি হত’, নজরে এ বার অয়নের পাশের ফ্ল্যাটের তরুণী

চুঁচুড়ার এবিএস টাওয়ার আবাসনে এক সময় অয়ন শীলের ফ্ল্যাটের পাশেই থাকতেন ছাব্বিশ-সাতাশ বছরের এক তরুণী। তাঁর পরনে সব সময় থাকত আধুনিক পোশাক। দাবি ওই আবাসনের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মোদকের।

One young lady used to stay beside arrested businessman Ayan Sil’s flat, says a neighbour.

একটা সময়ে অয়নের পাশের ফ্ল্যাটে ওই তরুণী থাকতেন বলে দাবি। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৫
Share: Save:

চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ার এবিএস টাওয়ার আবাসনে এক সময় অয়ন শীলের ফ্ল্যাটের পাশেই থাকতেন ছাব্বিশ-সাতাশ বছরের এক তরুণী। তাঁর পরনে সব সময় থাকত আধুনিক পোশাক। কথা বলতে অস্বস্তি হত আবাসিকদের। এমনটাই দাবি করলেন ওই আবাসনের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মোদক। তিনি জানান, একটা সময়ে অয়নের পাশের ফ্ল্যাটে ওই তরুণী থাকতেন। কিছু দিন থাকার পর তিনি ওই আবাসন ছেড়ে চলে যান। তবে ওই তরুণী ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, না অয়নের অতিথি হিসাবে থাকতেন, তা তিনি জানেন না বলেই জানিয়েছেন বিশ্বনাথ।

পাশাপাশি, অয়নের বিরুদ্ধে প্রজেক্টের নাম করে নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন বিশ্বনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘এক জন মহিলাকে থাকতে দেখেছি। বয়স ছাব্বিশ-সাতাশ হবে। খুব আধুনিক সাজপোশাক পরতেন। বেশ কিছু দিন ফ্ল্যাটে ছিলেন। এক বার ওঁর মা-বাবাও এসেছিলেন। পরে তিনি ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান। তবে কথাবার্তা হয়নি কখনও। অয়নের গেস্ট যাঁরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের অস্বস্তি হত। তবে ভাড়া থাকতেন কি না তা বলতে পারব না। সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’

ঘটনাচক্রে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অয়নকে গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকেরা। অয়নের বাড়ি এবং অফিস থেকে যে সব নথি উদ্ধার করেছে ইডি, সেখানে শ্বেতা চক্রবর্তী নামে এক মহিলার গাড়ি কেনা এবং সম্পত্তি হাতবদলের কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে। শ্বেতার নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়িতে অন্তত ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে অয়নের পরিবারের সদস্যদের নামেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটিতে রয়েছে শ্বেতার নামও। ঘটনাচক্রে তাঁর পদবিও চক্রবর্তী। পরিবারের সদস্য না হয়েও কেন শ্বেতার নামে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন অয়ন, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এই শ্বেতাই অয়নের আবাসনে থাকতেন কি না সে বিষয়ে বিশ্বনাথ কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন।

অয়নের বিরুদ্ধে প্রজেক্টের নামে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, ‘‘অয়ন আর আমার একসঙ্গে একটা প্রজেক্ট করার কথা ছিল। ২০১৪ সালে অয়নকে বিশ্বাস করে কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু এবিএস টাওয়ারের কাজ শুরু হওয়ায় সেই প্রজেক্ট বাতিল হয়ে যায়। তখন অয়ন বলে টাকাটা ওর কাছেই থাক। আমাকে ১২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার কথাও ছিল। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭ লক্ষ ফেরত দিয়েছে। এখনও ৩ লক্ষ ও সুদ বাকি। টাকা চাইলেই এড়িয়ে যেত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE