জঙ্গিপাড়ায় ডি-১ খালের সংস্কার চলছে। — নিজস্ব চিত্র।
জেলা সদর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরের এই জাঙ্গিপাড়া ব্লক হাওড়া ঘেঁষা। একটা সময় এই দূরত্বের কারণে জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া, পড়াশোনা বা অন্য কাজে যাওয়া সমস্যার ছিল। কিন্তু সময় বদলেছে। বদলেছে পরিকাঠামোও।
ব্লক প্রশাসনের দাবি, এ বার ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে অন্তত ৪০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা হয়েছে এখানে। সড়কের হাল ফেরায় হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি। ফলে এই ব্লক আর আগের মতো দুর্গম নয়। এলাকায় তৈরি হয়েছে কলেজ। জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের খোলনলচে যেমন বদলেছে তেমনই তৈরি হয়েছে ১২টি সরকারি সু-স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকায় বসেছে হাইমাস্ট আলো। রাস্তার পাশে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় এক বা একাধিক জলসত্র তৈরি হয়েছে। জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল চন্দের দাবি, ‘‘ব্লকের ১০টির মধ্যে ৮টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ যাতে নলবাহিত শুদ্ধ পানীয় জল পান, তার ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি মুণ্ডলিকা এবং কোতলপুর পঞ্চায়েতেও কাজ চলছে।’’
কৃষিপ্রধান এই ব্লকে চাষের জন্য ডিভিসি-র একাধিক খাল ছাড়াও রণের খাল রয়েছে। কিন্তু যে বছর বৃষ্টি বেশি হয় সে সময় খাল উপচে এলাকায় বানভাসি পরিস্থিতি হয়। সেটা সামাল দিতে বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি খালের নাব্যতা বাড়ানোর কাজও চলছে বলে দাবি। পাশাপাশি ওই খালের ধরা জলই চাষিরা কাজে লাগাতে পারবেন বলে, প্রশাসনের কর্তাদের দাবি।
তবে ভোটের মুখে বিরোধীরা এই কাজকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের আঙুল বকেয়া কাজের দিকে। এলাকার একমাত্র ‘সম্প্রতি’ প্রেক্ষাগৃহের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ হল না কেন বা শিশুদের জন্য আধুনিক পার্কের কাজই বা কতটা এগোল, প্রশ্ন উঠেছে।
জাঙ্গিপাড়া বিধানসভায় বিজেপির আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ বাগ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় রাজ্য সরকার কাজ করেছে। এতে রাজ্যের সরকারের কোনও কৃতিত্ব নেই। গরিব মানুষের টাকা লুট হয়েছে। রাস্তার কাজ ছিঁটেফোঁটা যেখানে হয়েছে, তার মান খারাপ। কেন্দ্রীয় সরকারের জল প্রকল্পের সুবিধা সকলে পাননি। প্রকৃত উপভোক্তারা ঘর পাননি। একে উন্নতি বলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy