এ বার শ্রমজীবী হাসপাতালের পরিষেবা মিলবে হাওড়ার ডোমজুড়েও। বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতির সহযোগিতায় ডোমজুড়ের কোলড়া ২ পঞ্চায়েতের নিউ কোলড়া বারোয়ারি কমিটির প্রাঙ্গণে রবিবার চালু হল বহির্বিভাগ। সকালে পদযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পদযাত্রা শেষে ওই প্রাঙ্গণে উপস্থিত সকলে একটি করে ফুল গেঁথে ফুটিয়ে তুললেন ‘হাওড়া গ্রামীণ শ্রমজীবী স্বাস্থ্য সমিতি’।
জানা গিয়েছে, আপাতত সপ্তাহে তিন দিন মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বসবেন। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসানো হবে। বর্তমানে বহু ক্ষেত্রেই চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের কার্যত বাইরে। এই আবহে উপযুক্ত মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে শ্রমজীবী হাসপাতাল সচেষ্ট। বারোয়ারি কমিটির সম্পাদক পবন খাঁড়া জানান, আপাতত মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং রবিবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চিকিৎসক বসবেন। মাত্র ১১ টাকায় ডাক্তার দেখানো যাবে। স্বল্প মূল্যের সাধারণ (জেনেরিক) ওষুধ পাওয়া যাবে। রক্ত, মল, মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষার সুবিধাও মিলবে স্বল্প মূল্যে। স্থানীয়েরা মনে করছেন, গণ উদ্যোগে এমন পরিষেবার ফলে আশপাশের বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
বেলুড় শ্রমজীবীর সহ-সভাপতি ফণীভূষণ ভট্টাচার্য জানান, ১৯৮২ সালের ২ অক্টোবর বেলুড়ে বহির্বিভাগ চালুর মধ্য দিয়ে শ্রমজীবী হাসপাতালের পথ চলা শুরু। বর্তমানে বেলুড়ে ৬০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে। ১০০ শয্যার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল চলছে। হরিপালে গড়ে উঠেছে ৩০ শয্যার হাসপাতাল। চুঁচুড়া, ব্যারাকপুর ইত্যাদি জায়গায় বহির্বিভাগ চালু রয়েছে। সেই তালিকায় নবতম
সংযোজন কোলড়া।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)